নেপালে ভূমিকম্পের ৬ দিন পর খোঁজ মিলল গুয়াহাটির হেঙেরাবাড়ির পর্যটক পদ্মাবতী মজুমদারের মৃতদেহ। তিন দিন আগেই নেপালে ভূমিকম্পে মৃতদের তালিকায় অসমের ৭ মহিলার নামের তালিকা প্রকাশ করেছিল কেন্দ্র। তার মধ্যে পদ্মাদেবীর নাম থাকলেও, তাঁর ছেলে ও জামাই কাটমাণ্ডু গিয়ে দেহের খোঁজ পাচ্ছিলেন না। একই বিপর্যয়ে মৃত অসমের ৬ মহিলার সঙ্গে একই হোটেলে ছিলেন পদ্মাবতীদেবী। ছ’জনের দেহ গত কালই গুয়াহাটি পৌঁছয়। আজ বিকেলে নেপালের ওই হোটেলের ধ্বংসস্তূপ থেকে পদ্মাদেবীর দেহ উদ্ধার করা হয়। দেহটি সম্ভবত আগামী কাল দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে।
এ দিকে, এ দিন নেপাল থেকে গুয়াহাটি ফিরেছেন গুয়াহাটির একটি পরিবারের পাঁচ সদস্য ও তিনসুকিয়ার তিন জন। ভূমিকম্পের জেরে অস্ট্রেলিয়া সফর সংক্ষিপ্ত করে রাজ্যে ফিরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। তিনি এদিন রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেন। নেপালে আটক, উদ্ধার হওয়া, মৃত ও নিখোঁজ অসমবাসীর বিষয়ে খোঁজখবর নেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান ভূমিকম্পে জখম রাজ্যবাসী গুয়াহাটি, নেপাল বা দিল্লির যেখানেই চিকিৎসাধীন থাকুন— তাঁদের চিকিৎসার ভার রাজ্য সরকার নেবে। ভূমিকম্পে গুয়াহাটি-সহ রাজ্যের কোথায় কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং বড় ভূমিকম্পে কতটা ক্ষতি হতে পারে সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী সমীক্ষার নির্দেশ দেন।
রাতে দীঘলিপুখুরির পাড়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে নিহতদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানান গগৈ। রাজ্য সরকার জানায়, ভূমিকম্পের সময় নেপালে থাকা ১৫২ জন রাজ্যবাসীর মধ্যে ১২৬ জনকে ইতিমধ্যে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। অন্য দিকে, অরুণাচলপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নাবাম টুকি নেপালে ১ হাজার তাঁবু পাঠাচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy