রাতভর বৃষ্টিতে রাজধানী ঠান্ডা হল, কিন্তু সংসদের উত্তাপ কমল কই! বরং প্রতিবাদের মঞ্চে আজ আরও ‘বন্ধু’ জুটল কংগ্রেসের।
কংগ্রেসের ২৫ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করার বিরোধিতায় সরব হলেও কাল তবু দূরত্ব বজায় রাখেন বাম ও সংযুক্ত জনতা দলের নেতারা। আজ তাঁরা খোলাখুলি গিয়ে দাঁড়ালেন সনিয়া গাঁধীর পাশে! এমনকী বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্হাও এ দিন তাঁর টুইটে ‘কংগ্রেসের ২৫ সাংসদ বন্ধুর’ পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের সাসপেনশনে অসন্তোষ জানিয়েছেন। আর সেই বর্ধিত সমর্থনের অক্সিজেন পেয়ে কংগ্রেস সভানেত্রীও আক্রমণের তেজ বাড়িয়ে বললেন, ‘‘বিরোধিতার এখনও কী দেখেছে সরকার, আরও আগুন জ্বলবে!’’
সনিয়ারই এমন মেজাজ হলে দল হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারে না। সংসদের চত্বরে ধর্নায় বসে কংগ্রেস সাংসদরা যখন সরকার-বিরোধী উগ্র স্লোগান দিচ্ছেন, লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজনের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে তখন ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধালেন যুব কংগ্রেস সমর্থকরা। খোদ যুব কংগ্রেস সভাপতি অমরেন্দ্র সিংহ রাজা ব্রার ব্যারিকেড ভাঙতে নামেন! শেষ পর্যন্ত জল কামানে কাক ভেজা পঞ্জাবের এই যুবনেতাকে চ্যাংদোলা করে তুলে নিয়ে যেতে হয় পুলিশকে। গত দেড় দশকে যুব কংগ্রেসের কোনও সভাপতিকে এমন আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা যায়নি।