ইয়াসিন ভটকল। —ফাইল চিত্র।
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের (আইএম) প্রতিষ্ঠাতা ইয়াসিন ভটকলকে মৃত্যুদণ্ড দিল বিশেষ এনআইএ আদালত। ২০১৩ সালের হায়দরাবাদ বিস্ফোরণের দায়ে ইয়াসিনকে এই সর্বোচ্চ সাজা শোনানো হয়েছে। ইয়াসিন ছাড়াও ওই বিস্ফোরণের দায়ে এ দিন আরও পাঁচ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই প্রথম কোনও নাশকতার দায়ে আইএম-এর কোনও শীর্ষ নেতা দোষী সাব্যস্ত হলেন।
ভারত সরকার ২০১০ সালে আইএস-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। জঙ্গি সংগঠনটির কার্যকলাপ অবশ্য তাতে থেমে থাকেনি। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হায়দরাবাদের জনবহুল এলাকা দিলসুখনগরে জোড়া বিস্ফোরণ ঘটায় আইএম। বিস্ফোরণে ১৮ জনের মৃত্যু হয়। জখম হন ১৩০ জন। এই নাশকতার তদন্তে নেমে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ইয়াসিন ভটকলকে বিহারে ভারত-নেপাল সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় অন্য বেশ কয়েক জন অভিযুক্তকেও। তবে আইএম-এর আর এক প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রিয়াজ ভটকলের নাগাল পাওয়া যায়নি। রিয়াজ ভটকল পাকিস্তানের আশ্রয়ে বলে এনআইএ-র ধারণা।
আরও পড়ুন: পঠানকোট হামলার মূল চক্রী মাসুদ আজহার, চার্জশিট এনআইএ-র
হায়দরাবাদে বিশেষ এনআইএ আদালতে এই জঙ্গিদের বিচার চলছিল। সেই আদালতই সোমবার ইয়াসিন ভটকল-সহ মোট পাঁচ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। এনআইএ প্রধান শরদ কুমার বলেছেন, ‘‘এই প্রথম ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের কোনও জঙ্গি দোষী সাব্যস্ত হল। তারা গোটা ভারতে নাশকতা চালানোর ছক কষেছিল।’’
বিশেষ এনআইএ আদালত ১৩ ডিসেম্বরই পাঁচ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। সাজা ঘোষণা বাকি ছিল। সোমবার তা ঘোষিত হল। ইয়াসিন ভটকল ছাড়াও, আসাদুল্লা আখতার ওরফে হাড্ডি, তহসিন আখতার ওরফে মনু , এজাজ শেখ এবং জিয়াউর রহমান ওরফে ওয়াকাস নামে এক পাকিস্তানি নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।
২০১৩ সালে হায়দরাবাদের দিলসুখনগরে জোড়া বিস্ফোরণ ঘটানোর আগে আইএম জঙ্গিরা শহরের বাইরে একটি পাহাড়ে পরীক্ষামূলক ভাবে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। প্রক্সি সার্ভার ব্যবহার করে আইএম জঙ্গিরা নিজেদের মধ্যে ইন্টারনেটে কথোপকথন চালাত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy