Advertisement
E-Paper

গর্ভস্থ শিশুকে মৃত ঘোষণা করে সরকারি হাসপাতাল, সেই শিশুরই জন্ম হল নার্সিং হোমে, মধ্যপ্রদেশের ঘটনায় হুলস্থুল

সতনার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এল কে তিওয়ারি জানিয়েছেন, কী ভাবে এটা হল, তার তদন্ত হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং চিকিৎসকের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৫ ১১:২৬
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

গর্ভস্থ শিশুকে মৃত ঘোষণা করেছিল সরকারি হাসপাতাল। তার পরই প্রসূতিকে একটি নার্সিং হোমে নিয়ে যান তাঁর বাড়ির লোকেরা। সেখানেই সুস্থ সন্তানের জন্ম দেন তিনি। আর এই ঘটনার পর সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওই প্রসূতির বাড়ির লোক। চিকিৎসকের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন তাঁরা। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের সতনায়।

জানা গিয়েছে, দুর্গা দ্বিবেদী নামে এক প্রসূতিকে প্রথমে সতনা জেলার অমরপতন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সোমবার রাতে প্রসবযন্ত্রণা ওঠার পরই বাড়ির লোকেরা তাঁকে সেখানে নিয়ে যান। কিছু শারীরিক জটিলতার কারণে ভোর ৪টের সময় দুর্গাকে স্থানান্তরিত করা হয় সর্দার বল্লভভাই পটেল জেলা হাসপাতালে।

পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ দুর্গাকে ওই সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁর নানাবিধ শারীরিক পরীক্ষা হয় সেখানে। গর্ভস্থ শিশুটি সুস্থ আছে কি না, তা জানার জন্য সকাল ৯টা নাগাদ হাসপাতালের এক সিনিয়র চিকিৎসক পরীক্ষা করেন। তিনি জানিয়ে দেন, গর্ভস্থ শিশুর কোনও নড়াচড়া লক্ষ করা যাচ্ছে না। তার হৃৎস্পন্দনও অনুভব করা যাচ্ছে না বলে দাবি করেন চিকিৎসক। বিষয়টি দুর্গার বাড়ির লোককেও জানিয়ে দেন ওই চিকিৎসক।

দুর্গার পরিবারের অভিযোগ, গর্ভস্থ শিশু আচমকা নড়াচড়া বন্ধ করে দেওয়ায় চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণাও করে দেন। দুর্গাকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতাল থেকে ছুটি করিয়ে একটি ডায়গনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যান তাঁর স্বামী রাহুল। সেখানে আবার নতুন করে সব পরীক্ষা হয়। রাহুলের দাবি, ডায়গনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষার পর দেখা যায় গর্ভস্থ সন্তান সুস্থ এবং স্বাভাবিক রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে স্থানীয় একটি নার্সিং হোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দুর্গা একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। মা এবং বাচ্চা দু’জনেই সুস্থ বলে জানিয়েছেন দুর্গার স্বামী।

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে। সতনার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এল কে তিওয়ারি জানিয়েছেন, কী ভাবে এটা হল, তার তদন্ত হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং চিকিৎসকের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় কারও গাফিলতি থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Govt Hospital Satna
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy