Advertisement
E-Paper

কোটায় কমছে আত্মহত্যার সংখ্যা, পড়ুয়াদের মনোবল বৃদ্ধিতে নানা পদক্ষেপেই সুরাহা, দাবি প্রশাসনের

পুলিশের বক্তব্য, তদন্তে দেখা গিয়েছে বেশির ভাগ পড়ুয়া ভবিষ্যতে আশঙ্কার কথা ভেবে ওই পথ বেছে নেন। পরিবার এবং পরীক্ষার চিন্তা থেকেই ওই ধরনের কাজ করছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:৫৯
কোটায় কমছে আত্মহত্যার সংখ্যা।

কোটায় কমছে আত্মহত্যার সংখ্যা। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

পড়ুয়াদের আত্মহত্যার সংখ্যা কমছে রাজস্থানের কোটায়। গত কয়েক বছরে সেখানকার কোচিং সেন্টারগুলিতে পর পর আত্মহত্যার ঘটনায় দেশ জুড়ে তোলপাড় হয়েছিল। ছাত্রছাত্রীদের আত্মহত্যা আটকাতে নানা পদক্ষেপ করে স্থানীয় প্রশাসন। শনিবার কোটা জেলা প্রশাসনের দাবি, কোচিং সেন্টারগুলিতে ২০২৩ সালের তুলনায় পড়ুয়াদের আত্মহত্যার ঘটনা কমেছে। যদিও প্রশাসনের তরফে নির্দিষ্ট কোনও সংখ্যা জানানো হয়নি। তবে পুলিশের রিপোর্ট বলছে, চলতি বছর কোটায় ১৭টি আত্মহত্যার ঘটনা সামনে এসেছে। গত বছর যা ছিল ২৬।

রাজস্থানের কোটায় আইআইটি-জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অনেক কোচিং সেন্টার রয়েছে। কোচিং করতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে লাখ লাখ পড়ুয়া সেখানে যান। কোটায় দেশের প্রায় এক কোটি পড়ুয়া রয়েছেন। বিগত কয়েক বছর কোটায় পড়ুয়াদের আত্মহত্যার ঘটনা মাথাচাড়া দেয়। পুলিশের বক্তব্য, তদন্তে দেখা গিয়েছে বেশির ভাগ পড়ুয়া ভবিষ্যতে আশঙ্কার কথা ভেবে ওই পথ বেছে নেন। কোটায় কোচিং সেন্টারকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের ব্যবসা গড়ে উঠেছিল। তার মধ্যে সেখানকার হস্টেল ব্যবসা সব চেয়ে আলোচনার মধ্যে রয়েছে। এ বার সেই হস্টেলে মৃত্যুর ঘটনার প্রভাব ব্যবসায় এসে পড়েছে। এমতাবস্থায় পড়ুয়াদের আত্মহত্যা আটকাতে নানা পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। তাতেই কাজ দিয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন।

কোটার জেলাশাসক রবীন্দ্র গোস্বামী জানান, পড়ুয়াদের মনোবল বৃদ্ধি করতে সারা বছর ধরে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের তরফে হস্টেলগুলির উপর সরাসরি নজরদারি করা হয়েছে। কোচিং সেন্টারগুলি পরিচালনার জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে প্রশাসন। পড়ুয়াদের সঙ্গে নিয়মিত আড্ডা দিচ্ছেন খোদ জেলাশাসক। তাঁদের সঙ্গে ভাবনা-চিন্তার আদানপ্রদান করছেন। পড়ুয়াদের খাবার ভাগ করে খাচ্ছেন জেলাশাসক। ছাত্রীদের নিরাপত্তায় মহিলা পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া পড়ুয়াদের ঘুরতে নিয়ে যাওয়া, সিনেমা দেখানোর বন্দোবস্তও করা হয়েছে।

অনেক অভিভাবক মনে করছেন, পরিবার এবং পরীক্ষার চিন্তা থেকেই ওই ধরনের কাজ করছেন পড়ুয়ারা। কারও কারও পরিবার ঋণ নিয়ে সেখানে পড়তে পাঠান। কেউ খুবই গরীব পরিবার থেকে সেখানে গিয়েছেন। কেউ অত্যধিক চাপ সামলাতে পারছে না। সর্বোপরি পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল না হলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন ছাত্রছাত্রীরা।

Kota Suicide
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy