পরিচারিকা থেকে স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান হয়েছে দীপিকা মাত্রে।
ভোর ৪টেয় উঠে ঘরের কাজ সারা। তারপর চটজলদি তৈরি হয়ে ভোরের অন্ধকারেই রওনা দেওয়া মুম্বই লোকাল ধরার জন্য।ট্রেনের কামরায় যাত্রীদের গয়না বিক্রি করার পর তাঁর পরবর্তী কাজ থালা-বাসন ধোয়া, রান্না করা। তারপর ফের ফিরতি মুম্বই লোকালে গয়না বিক্রি আর বাড়ি ফিরে তিন সন্তানের দেখভাল। সঙ্গে বিনামূল্যে পাওনা বাড়ির মালিকের ছোটবড় কথা। এ রকমই চলছিল তাঁর দিন। কেউ চিনতেন না, কেউ ফিরেও তাকাতেন না। আর এখন এক নামে অনেকেই চেনেন তাঁকে। যাঁরা এতদিন তাঁকে কারণে-অকারণে নানা কথা শোনাতেন, আজ তাঁরাই ঠায়ে বসে তাঁর কথা শোনেন!
দীপিকা মাত্রে। একজন পরিচারিকা, এতদিন এটাই ছিল তাঁর পরিচয়। কিন্তু বর্তমানে তিনি একজন স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান।নানা জায়গায় শো করেন। স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান বললে যে কটা নাম প্রথমে মনে আসে, সেই অদিতি মিত্তলও তাঁর গুণমুগ্ধ। নিজের হাতে দীপিকার ক্লাসও নিয়েছেন তিনি। স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান অদিতি মিত্তলের শোয়েও হাসির ফোয়ারা ছুটিয়েছেন তিনি।
বাসন পরিষ্কার থেকে স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান, দৌড়টা মোটেই সহজ ছিল না দীপিকার। দীপিকা বলেন, ‘‘পরিচারিকাদের জন্য ম্যাডামদের কোনও সহানুভূতি নেই। একটুতেই প্রচুর খারাপ কথা শুনতে হয়েছে। বসার জায়গা পর্যন্ত দিতে চাইতেন না অনেকে।’’
আরও পড়ুন: অমিতের সভার দিনেই গোটা রাজ্যে পথে নামছে তৃণমূল, পাল্টা হুঁশিয়ারি বিজেপিরও
কিন্তু ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায় একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। যাঁদের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন তিনি, তাঁদেরই একজন একবার সমস্ত পরিচারিকাদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। নাচ, গান যাঁর যা ইচ্ছা, তাই করতে পারবে তাঁরা। সেই অনুষ্ঠানেই দীপিকা স্ট্যান্ড আপ কমিডি করেন।প্রচুর প্রশংসা কুড়োন তিনি। এক সাংবাদিকও ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন। তাঁর মাধ্যমেই কমেডিয়ান অদিতি মিত্তলের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় দীপিকার। তারপর আর পরিচারিকার কাজ করতে হয়নি। বাসন মাজা ছেড়ে এখনস্ট্যান্ড আপ কমেডিতেই মন দিয়েছেন দীপিকা। অনেকগুলো টিভি চ্যানেলের অফার রয়েছে তাঁর হাতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy