Advertisement
E-Paper

চিন সীমান্তে পরিকাঠামো উন্নয়নে তৎপর দিল্লি

দীর্ঘদিনের গয়ংগচ্ছ মনোভাব ছেড়ে চিনের সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর এ বার জরুরি ভিত্তিতে পরিকাঠামো ও উন্নয়নকাজ শুরু করতে চায় ভারত। লাল ফিতের ফাঁস যাতে কাজে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ‘বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন’ (বিআরও)-র শীর্ষ কর্তাদের প্রকল্প রূপায়ণের জন্য প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা একধাপে অনেক গুণ বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৭ ০৪:১২
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সীমান্তে ঢুকে পড়ছে ড্রাগন। আর এই আপৎকালীন সময়ে বুদ্ধি খুলেছে কেন্দ্রের!

দীর্ঘদিনের গয়ংগচ্ছ মনোভাব ছেড়ে চিনের সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর এ বার জরুরি ভিত্তিতে পরিকাঠামো ও উন্নয়নকাজ শুরু করতে চায় ভারত। লাল ফিতের ফাঁস যাতে কাজে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ‘বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন’ (বিআরও)-র শীর্ষ কর্তাদের প্রকল্প রূপায়ণের জন্য প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা একধাপে অনেক গুণ বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে সীমান্তবর্তী কৌশলগত প্রকল্পগুলোর কাজ এগোনোর জন্য প্রতিপদে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না বিআরও-কে।

সীমান্তের ও-পারে চিন যখন তাদের পরিকাঠামোকে অত্যাধুনিক পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে, তখন ভারতের রাস্তা এখনও কাঁচা। ১৫ বছর আগে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ৪৬৪৩ কিলোমিটারব্যাপী সীমান্তে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকায় ৭৩টি রাস্তা নির্মাণের কথা ছিল। হয়েছে মাত্র ২৭টি। ১৪টি রেল প্রকল্প তৈরির কথা ছিল। সেগুলো তিমিরেই। সমস্যা ছিল দু’টি জায়গায়। প্রাক্তন বিদেশসচিবরা বারবার চেষ্টা করেও কাজ এগোতে পারেননি, কেন না সে সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা সিপিডব্লিউডি-র পক্ষ থেকে কেন্দ্রের কাছে বারবার সুপারিশ করা হতো যে, দেশের প্রত্যন্ত গ্রামে রাস্তা বানানোকেই অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন। বিদেশ মন্ত্রক বহু চেষ্টা করেও এই যুক্তি খণ্ডন করতে পারেনি। তা ছাড়া, রাস্তা নির্মাণের ক্ষেত্রে নির্মানকারী সরকারি সংস্থা যদি মাত্রাতিরিক্ত ক্ষমতা পেয়ে যায়, তা হলে দুর্নীতি বাড়বে— এমন সওয়ালও করা হতো। কিন্তু এখন জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নটি এতটাই সামনে এসে গিয়েছে যে, দুর্নীতির বিষয়টিকে আপাতত পাশে সরিয়ে রাখা হচ্ছে বলেই মন্ত্রকসূত্রে খবর।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিআরও-র ডিজিকে ১০০ কোটি, অতিরিক্ত ডিজিকে ৭৫ কোটি ও চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে ৫০ কোটি টাকা খরচ করার জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অনুমতি নিতে হবে না। বিআরও-র কর্তারা নিজেরাই বরাত দিয়ে নির্মানকারী সংস্থাকে আমন্ত্রণ করতে পারবেন এবং প্রয়োজনে বেসরকারি সংস্থাকে কাজে লাগাতে পারবেন। প্রকল্পের কাঁচামাল কেনা বা বিদেশ থেকে আমদানির ক্ষেত্রেও তাঁদের স্বাধীনতা থাকবে। মন্ত্রকসূত্রের বক্তব্য, কাজের গতির সঙ্গে কোনও রকম সমঝোতা না করে কী ভাবে এই বিষয়ের উপর নজরদারি রাখা যায়, তারও একটি ‘মেকানিজম’ তৈরি করতে অর্থ মন্ত্রককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

China india Border Doklam Delhi Border Road Organisation চিন বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy