Advertisement
E-Paper

কেজরীর কাজের পাল্টা বিজেপির মেরুকরণ

সভাপতি পদ ছাড়ার পরেও এখন দিল্লি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন অমিত। গত কাল মাঝরাত পর্যন্ত বিজেপির দিল্লি প্রদেশ দফতরে নড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। আগামিকাল দিল্লিতে তিনটি জনসভাও করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২০ ০২:৫১
অরবিন্দ কেজরীবাল।

অরবিন্দ কেজরীবাল।

অরবিন্দ কেজরীবালের ‘কাজের অস্ত্র’কে ভোটে কী ভাবে মোকাবিলা করা যাবে, তা নিয়ে চিন্তার মধ্যে রয়েছেন বিজেপির নেতারা। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির ভোটে মেরুকরণকেই অস্ত্র করতে চাইছে অমিত শাহ-জগৎপ্রকাশ নড্ডার দল।

সভাপতি পদ ছাড়ার পরেও এখন দিল্লি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন অমিত। গত কাল মাঝরাত পর্যন্ত বিজেপির দিল্লি প্রদেশ দফতরে নড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। আগামিকাল দিল্লিতে তিনটি জনসভাও করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। করবেন পদযাত্রাও। তার আগে আজ সকাল থেকে পুরোদস্তুর মেরুকরণের রাজনীতিতে নেমে পড়েছে গেরুয়া শিবির। সুপ্রিম কোর্ট নয়া নাগরিকত্ব আইনে কোনও স্থগিতাদেশ না দেওয়ার পর, উল্লসিত হয়ে।

কেজরীবাল সরকারের কাজের প্রভাবকে ভোটে কী ভাবে মোকাবিলা করা হবে, তা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে বিজেপিকে। রাতের বৈঠকে বিজেপি যে কৌশল নিয়েছে, সেখানে মূল নিশানা করা হয়েছে রাহুল গাঁধী এবং কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের। বিজেপি নেতারা চাইছেন, মেরুকরণের জমি তৈরির সঙ্গে সঙ্গে কংগ্রেসকেই নিশানা করতে, যাতে সংখ্যালঘুদের একাংশ কংগ্রেসকে তাঁদের কাছাকাছি থাকা দল ভাবতে পারেন। বিজেপি নেতাদের কৌশল, দিল্লিতে কংগ্রেসের ভোট বাড়লে এবং সংখ্যালঘুর ভোট তারা পেলে ধাক্কা কেজরীর। সে ক্ষেত্রে বিজেপির ‘বাড়-বাড়ন্ত’ হতে পারে।

বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র বলেন, ‘‘নাগরিকত্ব আইন নিয়ে যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে, তার নেপথ্যে কংগ্রেস। রাহুল গাঁধী একসময় কংগ্রেসকে ‘মুসলিমদের দল’ বলেছিলেন। দেশের সম্পদে প্রথম হক মুসলিমদের— বলেছিলেন মনমোহন সিংহ। আর মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বণ বলেছেন, বিজেপির ‘দুশমন’ মুসলিমদের অনুমতি নিয়েই সে রাজ্যে শিবসেনার সঙ্গে সরকার গড়েছে কংগ্রেস।’’ তাঁর ক্ষোভ, আসাদউদ্দিন ওয়াইসির ভাই আকবরুদ্দিনের বক্তব্য নিয়েও। যেখানে তিনি বলছেন, আটশো বছর শাসনের পর ভারতে মুসলিমদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে বলার অধিকার নেই কারও।

এমন কোনও বিষয় যিনি সবসময় লুফে নেন, মোদী সরকারের সেই মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ আকবরুদ্দিনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘মোগলদের কথা বলে এখন জিন্নার পথে কেউ যেন না হাঁটেন।’’ বিজেপির মতে, কংগ্রেসের নাম ‘মুসলিম লিগ কংগ্রেস’ রাখা উচিত।

নাগরিকত্ব আইনকে সামনে রেখে বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতির চেষ্টা বুঝছে বিরোধীরা। কেজরীবাল তাই এ ফাঁদে পা না দিয়ে শুধুমাত্র তাঁর সরকারের কাজে মন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আর রাহুল গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাও স্থির করেছেন, বিজেপির মেরুকরণের তাসের মোড় ঘোরাতে দেশের বেহাল অর্থনীতি নিয়েই প্রচার করবেন। রাজ্যওয়াড়ি সফর শুরু করছেন রাহুল। কৃষকদের

নিয়ে উত্তরপ্রদেশে সভা করবেন প্রিয়ঙ্কা। কংগ্রেসের মতে, আইন নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে আদালত যত দেরি করবে, ততই সুবিধা হবে বিজেপির। সিপিএমের মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের দিকে দেশের মানুষ তাকিয়ে ছিল। বিচার পেতে যত দেরি হবে, রাস্তার আন্দোলন তত জোরালো হবে।’’

Arvind Kejriwal BJP Congress CAA Delhi Assembly Election 2020 Delhi Assembly Election
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy