Advertisement
E-Paper

গাড়িবোমা বিস্ফোরণের আগে দিল্লির বহু জায়গায় হামাসের কায়দায় আত্মঘাতী ড্রোন, রকেট হামলার ছক ছিল উমরদের!

তদন্তকারী একটি সূত্রের দাবি, ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, অত্যাধুনিক ড্রোন প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে রকেট সিস্টেম তৈরি করা হয়েছিল। যেগুলি বিস্ফোরক বহনক্ষম।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৫ ১৩:৩২
দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে ‘ঘাতক’ চিকিৎসক উমর উন নবি। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে ‘ঘাতক’ চিকিৎসক উমর উন নবি। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে আরও নয়া তথ্য উঠে এল তদন্তকারীদের হাতে। সূত্রের খবর, দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে বিস্ফোরণের আগে রাজধানীর বহু জায়গায় হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন অভিযুক্ত চিকিৎসক উমর-উন-নবি এবং তাঁর সঙ্গীরা। ওই সূত্রের দাবি, আত্মঘাতী বোমারুই নয়, রাজধানীর ‘হাই সিকিওরিটি’ জ়োনগুলিতে আত্মঘাতী ড্রোন এবং রকেট দিয়ে হামলার ছক কষা হয়েছিল।

ইন্ডিয়া টু়ডে-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, তদন্তকারী একটি সূত্রের দাবি, ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, অত্যাধুনিক ড্রোন প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে রকেট সিস্টেম তৈরি করা হয়েছিল। যেগুলি বিস্ফোরক বহনক্ষম। ড্রোনের মাধ্যমে সেই রকেট দিয়ে হামলা করা হত। যাতে এই হামলার অভিঘাত অনেক বেশি হয়। প্রাণহানি হয় অনেক। তদন্তকারীরা এই পরিকল্পনার বিষয়টি জানতে পেরেছেন বলে সূত্রের দাবি। হামাস বিদ্রোহীরা বা ইসলামিক স্টেট জঙ্গিরা হামলার জন্য এই ধরনের কৌশল ব্যবহার করে বলে ওই সূত্রের দাবি।

তদন্তকারী ওই সূত্রের খবর, প্রযুক্তির দিক থেকে যাতে কোনও খামতি না থাকে এবং হামলা যেন একেবারে নিখুঁত হয়, সেই লক্ষ্যপূরণে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদেরও কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তদন্তকারীরা ধৃতদের ডিজিটাল ডিভাইস, যোগাযোগের মাধ্যম এবং এই কাজে সহযোগিতাকারীদের খুঁজে বার করার চেষ্টা করছেন। তাঁদের ধরতে পারলেই ড্রোন হামলার পরিকল্পনার বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। রবিবারই জম্মু-কাশ্মীর থেকে জসির বিলাল ওয়ানি ওরফে দানিস নামে উমরের এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। সোমবার দিল্লি থেকে আমির রশিদ আলি নামে আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তকারী সূত্রের দাবি, জঙ্গি হামলার জন্য সমস্ত রকম প্রযুক্তিগত সহযোগিতা করেছিলেন দানিস। শুধু তা-ই নয়, আত্মঘাতী ড্রোন বানানো এবং হামলার জন্য রকেট তৈরিতেও সাহায্য করেন তিনি। সূত্রের খবর, ছোট ছোট অস্ত্র এবং বিস্ফোরক বহনক্ষম ড্রোন তৈরিতে দক্ষ দানিস। সেই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বিপুল বিস্ফোরক-সহ আত্মঘাতী ড্রোন বানানোর কাজ করছিলেন।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক দানিস। বেশ কয়েক মাস ধরে উমরের সংস্পর্শে ছিলেন তিনি। সেই সময়েই তাঁর মগজধোলাই হয়। তাঁকে আত্মঘাতী বোমারু বানানো হয়েছিল। সূত্রের খবর, দানিস স্বীকার করেছেন, গত বছরের অক্টোবরে কুলগামে ‘ডক্টর মডিউল’-এর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল তাঁর। তার পর তাঁকে আল ফালাহ্‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একটি বাড়িতে রাখা হয়েছিল।

Red Fort
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy