দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্তেরা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য এক বিশেষ ধরনের ইমেল ব্যবহার করতেন। তদন্তকারী সূত্রের খবর, ওই বিশেষ ইমেলকে বলা হয় ‘ডেড ড্রপ’। শুধু এই বিশেষ ইমেলই নয়, তাঁরা ‘হাইলি এনক্রিপ্টেড’ অ্যাপের মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে কথাবার্তা চালাতেন। তদন্তকারী সূত্রে খবর, মূলত চরবৃত্তি এবং জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য এই ধরনের ইমেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। দিল্লি বিস্ফোরণের চক্রান্তকারীরা সেই পদ্ধতিতেই নিজেদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন বলে তদন্তকারীদের দাবি। কী এই ‘ডেড ড্রপ’ ইমেল?
‘ডেড ড্রপ’ ইমেল বলতে এমন একটি পদ্ধতি বোঝায়, যেখানে দুই ব্যক্তি কোনও বার্তা বিনিময় করতে একটি ইমেল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেন, কিন্তু কেউই একে অপরকে সরাসরি ইমেল পাঠান না। বরং দু’জনেই একই ইমেল অ্যাকাউন্টে লগ ইন করে ড্রাফ্ট ফোল্ডারে বার্তা লিখে রেখে দেন। অন্য জন লগ ইন করে ড্রাফ্ট পড়েন, উত্তরও একই ভাবে ড্রাফ্টেই রেখে যান। এ ভাবে বার্তা পাঠানো বা গ্রহণের কোনও রেকর্ড থাকে না। তাই এই পদ্ধতিকে ‘ডেড ড্রপ’ বলা হয় (গোপনে তথ্য বিনিময়ের মতো পদ্ধতি)। অর্থাৎ ড্রাফ্টে বার্তা রেখে এক ইমেইল অ্যাকাউন্টে গোপনে যোগাযোগ করার পদ্ধতি।
তদন্তকারী সূত্রে খবর, ‘ডেড ড্রপ’ ইমেল ছাড়াও থ্রিমা, টেলিগ্রাম এবং সেশন— এই অ্যাপগুলি ব্যবহার করেও নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখতেন বিস্ফোরণকাণ্ডের অভিযুক্তেরা। থ্রিমা হল একটি নিরাপদ মেসেজিং অ্যাপ, যেটি ‘হাইলি এনক্রিপ্টেড’। অর্থাৎ, কারও বার্তা, কল, ফাইল— সবই শুধু বার্তাপ্রেরক এবং বার্তাপ্রাপক পড়তে বা শুনতে পারেন। মাঝখানে কেউই দেখতে পারেন না। সেশন অ্যাপের কাজও একই রকম। এই অ্যাপের জন্য কোনও ফোন নম্বর বা ইমেল আইডি প্রয়োজন হয় না। এই অ্যাপের কোনও সেন্ট্রাল সার্ভার নেই।