Advertisement
০৬ অক্টোবর ২০২৪
Arvind Kejriwal

মঙ্গলবার বিকেলে কেজরী উপরাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন, পদত্যাগপত্র তুলে দেওয়ার জন্যই কি?

রবিবার দুপুরে দলীয় এক সম্মেলনে আপ প্রধান কেজরীওয়াল বলেন, “দু’দিন পরে আমি মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেব। যত দিন না জনতা জনার্দনের রায় পাচ্ছি, তত দিন আমি এই আসনে আর ফিরব না।”

(বাঁ দিকে) দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৫২
Share: Save:

দু’দিন পরে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরীওয়াল। সোমবার দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনার সময় চান আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রধান। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাক্সেনা কেজরীকে মঙ্গলবার বিকেলে সময় দিয়েছেন। বিকেল সাড়ে ৪টের সময় দিল্লির উপরাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন কেজরীওয়াল। আপের একটি সূত্র অনুযায়ী, উপরাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দেবেন তিনি।

রবিবার দুপুরে দলীয় এক সম্মেলনে আপ প্রধান কেজরীওয়াল বলেন, “দু’দিন পরে আমি মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেব। যত দিন না জনতা জনার্দনের রায় পাচ্ছি, তত দিন আমি এই আসনে আর ফিরব না।” কেজরীওয়ালের এই ঘোষণার পরেই বিজেপি শিবির থেকে বিভিন্ন কটাক্ষ ভেসে আসতে থাকে। ইস্তফা দিতে তিনি দু’দিন সময় নিচ্ছেন, সে নিয়েও প্রশ্ন তোলে বিজেপি। আপ প্রধানের সিদ্ধান্তকে একটি ‘রাজনৈতিক নাটক’ হিসাবেই ব্যাখ্যা করেছে পদ্মশিবির। কেজরী জানান, জনতা ‘সততার শংসাপত্র’ না দেওয়া পর্যন্ত তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে এবং সিসৌদিয়া উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসবেন না। তার পরিবর্তে দলেরই কেউ মুখ্যমন্ত্রিত্বের ভার সামলাবেন বলে ইঙ্গিত দেন কেজরীওয়াল।

মুখ্যমন্ত্রী পদে কেজরীওয়ালের উত্তরাধিকারী হিসাবে পাঁচ জন আপ বিধায়কের নাম নিয়ে আলোচনা চলছে বলে দলেরই একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। এই পাঁচ বিধায়ক হলেন অতিশী মারলেনা, সৌরভ ভরদ্বাজ, কৈলাস গহলৌত, গোপাল রাই এবং ইমরান হুসেন। আলোচনায় রয়েছেন কেজরীর স্ত্রী সুনীতা কেজরীওয়ালও। সে ভাবে সক্রিয় রাজনীতিতে না থাকলেও কেজরীর গ্রেফতারির পর তাঁকে দলের সামনের সারিতে দেখা গিয়েছিল। সেই সময় দিল্লির বাসিন্দাদের কাছে জেলবন্দি স্বামীর বার্তাও তুলে ধরতেন তিনি। আপের আরও একটি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ভোটের কথা মাথায় রেখে কোনও দলিত নেতাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসানো হতে পারে। তবে নির্দিষ্ট কোনও নেতার নাম করা হয়নি। বর্তমান দিল্লি বিধানসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি। তাই যিনিই মুখ্যমন্ত্রী হোন না কেন, তিনি অল্প কয়েক দিনের জন্যই সেই পদে থাকবেন।

প্রসঙ্গত, দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত কেজরীওয়াল। ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে প্রায় ছয় মাস তিহাড় জেলে ছিলেন তিনি। গত শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জেলমুক্তি ঘটেছে আপ প্রধানের। তার পরেই গত রবিবার মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানান কেজরীওয়াল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE