নিট কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।
নিট কেলেঙ্কারির তদন্তে বিহার, গুজরাত, মহারাষ্ট্রের নাম উঠে এসেছিল আগেই। এ বার স্নাতক স্তরে ডাক্তারির এই প্রবেশিকা পরীক্ষার কারচুপিতে উঠে এল রাজধানী দিল্লির নামও। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের দুই স্কুলশিক্ষক এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। আর ওই দুই শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল দিল্লির এক ব্যক্তির। এই তিন জনই কোচিং সেন্টার চালাতেন এবং মোটা টাকার বিনিময়ে পড়ুয়াদের সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতেন বলে অভিযোগ।
মহারাষ্ট্রের দুই শিক্ষকের মধ্যে জলিল উমরখান পঠানকে শনিবারই নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। আর সঞ্জয় টুকারাম জাদভ নামে আর এক অভিযুক্ত শিক্ষককে খুঁজছে পুলিশ। দিল্লির ওই বাসিন্দার নাম গঙ্গাধর। তিনিই টাকা দিয়ে সাফল্য পেতে চাওয়া ছাত্রদের জলিল এবং সঞ্জয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতেন। তদন্তে মহারাষ্ট্রের নান্দেড়ের এক শিক্ষকের নামও উঠে এসেছে।
শনিবার নিট কেলেঙ্কারির তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয় কেন্দ্র। রবিবার এই মামলায় প্রথম এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। রবিবারই তদন্তকারীদের দু’টি দল বিহার এবং গুজরাতের উদ্দেশে রওনা দেয়। সোমবার সিবিআইয়ের একটি দলের পটনা যাওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই বিহার পুলিশের আর্থিক দুর্নীতিদমন শাখা নিট কেলেঙ্কারিতে ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। তবে তাদের কাছে জমা পড়া যাবতীয় অভিযোগ সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে চলেছে তারা। অন্য দিকে, নিট-এর প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ইডি তদন্ত চেয়ে একটি আবেদন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার সেটির শুনানি হওয়ার কথা।
সোমবার থেকে শুরু হওয়া সংসদের অধিবেশনেও নিট এবং নেট-এ অনিয়ম নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে চলেছে বিরোধী দলগুলি। সংসদে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান যখন সাংসদ হিসাবে শপথ নিচ্ছেন তখন নেট-নিট নিয়ে স্লোগান ওঠে। সোমবার কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ন্যাশনাল স্টুডেন্টস অফ ইন্ডিয়া দিল্লির যন্তরমন্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন পড়ুয়াদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy