প্রতীকী ছবি।
শিশু বয়স থেকেই ধর্ষণ করত মামা! তার জন্য বেশ কয়েক বার করাতে হয়েছে গর্ভপাত! শেষ পর্যন্ত ৪০ বছর বয়সে এসে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করলেন নির্যাতিতা। তারও তিন বছর পর আদালত চার্জ গঠনের নির্দেশ দিল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। দিল্লি আদালতের এই ভয়ঙ্কর ধর্ষণের মামলা সামনে আসার পর নানা মহলে শুরু হয়েছে তোলপাড়। অভিযুক্ত ও তাঁর সন্তানদের
মঙ্গলবার দিল্লি আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক উমেদ সিংহ গ্রেওয়াল চার্জ গঠনের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, প্রাথমিক ভাবে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ফৌজদারি অপরাধের তথ্যপ্রমাণের সত্যতা মিলেছে। যদিও অভিযুক্তের আইনজীবী আদালতে চার্জ গঠনের বিরোধিতা করেন। ২০১৬ সালে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নির্যাতিতা। তিন বছর পর সেই মামলায় চার্জ গঠন হল।
অভিযোগপত্রে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত প্রথম তাঁকে ধর্ষণ করেন ১৯৮১ সালে, যখন তাঁর বয়স মাত্র চার বছর। তার পর থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত লাগাতার চলতে থাকে ধর্ষণ। তার জেরে এই সময়ের মধ্যে তিন বার তাঁকে গর্ভপাত করাতে হয়। এর পর ওই তরুণীর বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ২০১৪ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁর।
নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগ, বিচ্ছেদের পর ফের তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্কের চাপ দিতে শুরু করেন অভিযুক্ত। কিন্তু মহিলা রাজি হননি। এর মধ্যে আবার অভিযুক্তের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর সৎ বোনের। সেই বিয়ের পর থেকে বোন ও জামাইবাবুও নির্যাতিতার বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। ফলে সেই সেই চাপ আরও বাড়তে থাকে।
আরও পড়ুন: শৈশব চুরি রুখতে হরিয়ানায় বন্ধ হচ্ছে সব কেজি স্কুল, কী বলছে এ রাজ্যের শিক্ষামহল
আরও পড়ুন: নির্ভয়া দোষীদের ফাঁসি শীঘ্রই! তিহাড় জেলে এল ফাঁসির দড়ি, ‘ডামি’ দিয়ে মহড়াও সারা
সেই সময় বাধ্য হয়ে মা-বাবা ও পরিবারের লোকজনকে গোটা ঘটনা জানান নির্যাতিতা। নির্যাতিতার দাবি, পরিবারের লোকজনও তাঁকে সাহায্য করেননি বা পাশে দাঁড়াননি। উল্টে বিষয়টি চেপে যাওয়ার কথা বলেন। পরিবারের লোকজন তাঁকে মারধর করে বলেও অভিযোগ। পাশাপাশি নির্যাতিতার আরও অভিযোগ, শুধু অভিযুক্তই নন, তাঁর ছেলেরা এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা তাঁকে নিয়মিত খুনের হুমকিও দিচ্ছেন। যদিও অভিযুক্তের আইনজীবীর বক্তব্য, অভিযোগের সারবত্তা নেই। পুরোটাই সাজানো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy