চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র নয়াদিল্লি সফরে তাইওয়ান নিয়ে একটি ঘূর্ণি বল করল বেজিং। গত কাল বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ওয়াং ই-র বৈঠকের পরে মধ্যরাতে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জয়শঙ্করকে উদ্ধৃত করে সে দেশের সরকারি মুখপত্রে লেখা হয়, ভারত ‘এক-চিন নীতিকে’ মেনে নিয়ে জানিয়েছে, তাইওয়ান চিনের অংশ। বিদেশ মন্ত্রক সরকারি ভাবে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেনি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, ‘তাইওয়ান নিয়ে নয়াদিল্লির অবস্থার কোনও বদল হয়নি। আমরা বরবারই বলি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই তাইওয়ানের সঙ্গে ভারতের অর্থনৈতিক, প্রযুক্তিগত এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা আগ্রহী।’
২০০৯-এর আগে পর্যন্ত মোটের উপর তাইওয়ানকে চিনের অংশ হিসাবেই মানত ভারত। ওই বছর চিন জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ ও অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দাদের স্টেপল ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। স্টেপল ভিসা দেওয়া হয় বিতর্কিত এলাকার বাসিন্দাদের। বেজিং যে জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ ও অরুণাচলকে ভারতের অংশ বলে মনে করে না, সেই বার্তায় ক্ষোভ তৈরি হয় সাউথ ব্লকে। এর পর ভারতও প্রকাশ্যে তাইওয়ানকে চিনের অংশ বলতে অস্বীকার করে। এই অবস্থানের কিছুটা বদল ঘটে ২০১৮-তে। সে বছর এয়ার ইন্ডিয়া তাদের তাইওয়ান ফ্লাইটের রুটের নাম বদলে করে চাইনিজ তাইপেই। কূটনৈতিক মহলের একাংশের মতে, জয়শঙ্কর তাইওয়ানকে চিনের অংশ বলে মেনে নিয়ে থাকলে, তা নতুন কোনও সিদ্ধান্ত বলা যাবে না।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)