Advertisement
E-Paper

যৌনতায় সম্মতি দেওয়ার মানে আপত্তিকর ভিডিয়ো তুলে পোস্ট করায় অনুমতি নয়, বলল দিল্লি হাই কোর্ট

এক ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত জামিনের আর্জি নিয়ে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁর দাবি, মহিলার সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল। তবে আপত্তিকর ভিডিয়ো কী কারণে তোলা হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন হাই কোর্টের।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:৩৩
যৌনতায় সম্মতির অর্থ এই নয় যে, আপত্তিকর ভিডিয়ো তুলে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করতেও অনুমতি রয়েছে, পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাই কোর্টের।

যৌনতায় সম্মতির অর্থ এই নয় যে, আপত্তিকর ভিডিয়ো তুলে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করতেও অনুমতি রয়েছে, পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাই কোর্টের। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

যৌনতায় সম্মতি দেওয়ার অর্থ এটা নয় যে, আপত্তিকর ভিডিয়ো তুলে তা সমাজমাধ্যমে পোস্ট করারও অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এক ধর্ষণ মামলার শুনানিতে এ কথা জানিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট। মামলায় অভিযুক্ত জামিনের আর্জিতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। ওই আবেদন খারিজ করার সময়ে নির্দেশনামায় এ কথা জানায় আদালত।

ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে এক মহিলাকে একাধিক বার ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ওই মামলায় জামিন চেয়ে অভিযুক্ত হাই কোর্টে জানান, নির্যাতিতার সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ দিন ধরেই সম্পর্ক ছিল। অভিযুক্তের দাবি, তাঁর থেকে ঋণ নিয়েছিলেন মহিলা। সেই ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় নির্যাতিতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে তিক্ততা তৈরি হয়। নির্যাতিতার সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল বলে দাবি করেন অভিযুক্ত। তবে জামিনের জন্য এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচনা করেনি দিল্লি হাই কোর্ট।

নির্যাতিতা বিবাহিত। তিনি এক মাসাজ পার্লারে কাজ করতেন। মহিলার অভিযোগ, একটি কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য অভিযুক্তের থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকার ঋণ নিয়েছিলেন। এর পর থেকেই অভিযুক্ত তাঁকে বিভিন্ন ভাবে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করতেন বলে অভিযোগ।

বিচারপতি স্বর্ণকান্তা শর্মা অভিযুক্তের জামিনের আর্জি খারিজ করে জানান, যদি ধরেও নেওয়া হয় যৌনতায় সম্মতি ছিল, তার অর্থ এই নয় যে, আপত্তিকর ভিডিয়ো তুলে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করার জন্যও অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি তুলে তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য যৌনতায় সম্মতিকে বিবেচনা করা যায় না। আদালতের পর্যবেক্ষণ, যদি ধরে নেওয়া যায় প্রথম বারের শারীরিক সম্পর্ক সম্মতির ভিত্তিতে হয়েছে, তা-ও পরের ঘটনাগুলিতে ভয় দেখিয়ে বাধ্য করার সম্ভাবনা থেকে যায়। পুলিশি তদন্তে উঠে আসা তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত মনে করছে, ঋণের অছিলায় সম্পর্ককে অপব্যবহার করার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে অভিযুক্তের।

Delhi High Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy