দাঙ্গায় ৫০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারান ফাইল চিত্র।
গত বছর দিল্লিতে দাঙ্গা হঠাৎ করে হয়নি, বরং আগে থেকে পরিকল্পনা করে তা ঘটানো হয়েছিল বলেই জানাল দিল্লি হাই কোর্ট। এই মামলায় এক অভিযুক্তের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার দিল্লি হাই কোর্ট জানায়, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লিতে হওয়া দাঙ্গার ঘটনা একটি ষড়যন্ত্র ছিল। আগে থেকে পরিকল্পনা করে তার পরে তার বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। আদালতের সামনে দাঙ্গার যে ভিডিয়ো জমা দেওয়া হয়েছে তা থেকে স্পষ্ট যে সরকারের কাজে বাধা ও শান্তি বিঘ্নিত করতেই এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদ রায়ে বলেন, ‘‘যে সব এলাকায় সংঘর্ষ হয়েছিল সেখানে আগে থেকেই সিসিটিভি ক্যামেরা খারাপ করে দেওয়া হয়। দাঙ্গার সময় সাধারণ মানুষের উপর লাঠি, ব্যাট, লোহার রড দিয়ে হামলা করা হয়। এর থেকেই প্রমাণিত যে শহরের আইন-শৃঙ্খলায় বাধা দেওয়ার জন্যই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছিল।’’
দিল্লির দাঙ্গায় ৫০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারান। আহত হন ২০০ জনের বেশি। এই ঘটনায় গত বছর ডিসেম্বরে মহম্মদ ইব্রাহিম নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। দিল্লি পুলিশের হেড কনস্টেবল রতন লালকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত তিনি। আদালতে তিনি দাবি করেন পরিবারের সুরক্ষার জন্যই অস্ত্র রেখেছিলেন। অবশ্য তাঁকে জামিন দেয়নি আদালত। যদিও আর এক ধৃত মহম্মদ সেলিম খানকে জামিন দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy