এক তরুণীকে পাঁচ তলার ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে খুন করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়েছে উত্তর-পূর্ব দিল্লির অশোকনগরে। ওই ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সকালে জ্যোতিনগর থানা এলাকার একটি বহুতলের নীচ থেকে নেহা নামে এক তরুণীর দেহ উদ্ধার করা হয়। ওই বহুতলের একটি ফ্ল্যাটেই পরিবারের সঙ্গে থাকতেন তিনি। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ওই তরুণীকে বহুতলের ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় ওই তরুণীর।
খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এই খুনের ঘটনায় তৌফিক নামে এক যুবকের নাম জড়ায়। অভিযোগ, সোমবার সকালে তিনি এসে ওই তরুণীকে ছাদ থেকে ঠেলে নীচে ফেলে দেন। ওই যুবক উত্তরপ্রদেশের রামপুরের বাসিন্দা। তবে থাকতেন দিল্লিতে। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন যে তিনি ওই বহুতলে এসেছিলেন, তা গোপন করতে বোরখা পরে এসেছিলেন তৌফিক। ওই বহুতলের আশপাশের সিসি ক্যামেরাতেও ধরা পড়ে তাঁর ছবি। সেই ফুটেজ দেখেই তৌফিকের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। দিল্লিতে তাঁর আস্তানায় হানাও দেন তদন্তকারীরা। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় বোরখা পরে বহুতলে প্রবেশ এবং নেহাকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন তৌফিক। কেন নেহাকে খুন করলেন তিনি? জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক মাস তৌফিক এবং নেহার মধ্যে সম্পর্ক ছিল। তবে দিন কয়েক আগেই নেহা জানতে পারেন, পরিবারের দেখা পাত্রীকে বিয়ে করবেন বলে পরিকল্পনা করছেন তৌফিক। তখনই দু’জনের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। সোমবার সকালেও ছাদে এই নিয়ে ঝগড়া হয় তৌফিক এবং নেহার মধ্যে। বচসার মধ্যেই নেহাকে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
যদিও নেহার পরিবারের দাবি, তাদের মেয়ের সঙ্গে তৌফিকের কোনও প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। বরং তৌফিককে রাখি বাঁধতেন নেহা। প্রায় তিন বছর ধরে তৌফিককে চেনে নেহার পরিবার। প্রায়শই বাড়িতে আসতেন। পুলিশ, ঘটনার সব দিকই খতিয়ে দেখছে।