Advertisement
E-Paper

সম্পত্তি লাভে ‘পথের কাঁটা’ দিদি! দিল্লিতে বাবা-মা-দিদিকে খুন করে ধৃত ২০ বছরের তরুণ

বুধবার সকালে দক্ষিণ দিল্লির নেব সরাইয়ের একটি ঘর থেকে বাবা, মা এবং কন্যার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। নিহতদের নাম রাজেশ (৫৩), তাঁর স্ত্রী কোমল (৪৭) এবং তাঁদের ২৩ বছরের কন্যা কবিতা।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:০৬
(বাঁ দিকে) ধৃত ছেলে অর্জুন। নিহত একই পরিবারের তিন সদস্য রাজেশ, কোমল ও তাঁদের মেয়ে কবিতা (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) ধৃত ছেলে অর্জুন। নিহত একই পরিবারের তিন সদস্য রাজেশ, কোমল ও তাঁদের মেয়ে কবিতা (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

দিল্লিকাণ্ডের তদন্তে এ বার নয়া মোড়! বুধবার সকালে প্রাতর্ভ্রমণ থেকে ফিরে ঘরের মেঝেতে বাবা-মা ও দিদির রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেছিলেন তরুণ। তিনিই চিৎকার করে ডেকেছিলেন প্রতিবেশীদের। কিন্তু এ বার জানা গেল, ছক কষে বাবা-মায়ের বিবাহবার্ষিকীর দিনে পরিবারকে খুন করেছেন ছেলেই!

বুধবার সকালে দক্ষিণ দিল্লির নেব সরাইয়ের একটি ঘর থেকে বাবা, মা এবং কন্যার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। নিহতদের নাম রাজেশ (৫৩), তাঁর স্ত্রী কোমল (৪৭) এবং তাঁদের ২৩ বছরের কন্যা কবিতা। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই নিহত দম্পতির ২০ বছরের পুত্র অর্জুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবা-মা ও দিদির সঙ্গে বনিবনা ছিল না অর্জুনের। অভিযোগ, পড়াশোনা থেকে শুরু করে নিত্যনৈমিত্তিক কাজের জন্য ছেলেকে তিরস্কার করতেন বাবা। সম্প্রতি সম্পত্তির ভাগ নিয়েও ছেলের সঙ্গে একপ্রস্ত বচসা হয় বাবা-মায়ের।

বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশের (দক্ষিণ) যুগ্ম কমিশনার এসকে জৈন বলেন, ‘‘অর্জুনের বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি ছিল। এর পরেই তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। জেরায় জানা যায়, বাবা-মায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালো ছিল না। তিনি আরও জানান, তাঁর চেয়ে দিদি কবিতাকে বেশি ভালবাসতেন বাবা-মা। সম্প্রতি সব সম্পত্তিও মেয়ে কবিতার নামেই লিখে দিতে চেয়েছিলেন তাঁরা।’’ পুলিশের দাবি, সেই ক্ষোভ থেকেই পরিবারকে খুন করেছেন অর্জুন। তা-ও আবার বাবা-মায়ের বিবাহবার্ষিকীর দিনে!

প্রথমে অর্জুন জানান, বুধবার ভোর ৫টা নাগাদ প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরে দেখেন, ঘরের দরজা হাট করে খোলা। ঘরের ভিতরে তাকাতেই শিউরে ওঠেন তিনি। দেখেন, বাবা, মা এবং বোন রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেয় পড়ে রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকেন তিনি। খবর দেওয়া হয় পুলিশেও। এর পর পুলিশ এসে দেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

Delhi Delhi Murder family son Murder
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy