দেশের নানা জায়গা থেকে যৌথ অভিযনে আইএস জঙ্গি সন্দেহে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। তাদের ছক ছিল দক্ষিণপন্থী বিভিন্ন নেতাকে নিশানা করার। সন্দেহভাজনদের মধ্যে বার্তালাপ খতিয়ে দেখে এ কথা জানা গিয়েছে, দাবি করেছেন গোয়েন্দারা। বলা হয়েছে, ওই জঙ্গিদের পরিকল্পনা ছিল আত্মঘাতী হামলারও।
গোয়েন্দারা জনাচ্ছেন, সংশ্লিষ্ট জঙ্গি মডিউলের মোট সক্রিয় সদস্য সংখ্যা ৪০ জন। তাদের মধ্যে সাকুল্যে পাঁচ জনই হামলার বিষয়ে জানত। তারা রাসায়নিক অস্ত্র তৈরিতে দক্ষ। ধরা হয়েছে দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ,ঝাড়খণ্ড ও তেলঙ্গানা থেকে। ধৃতদের থেকে প্রচুর রাসায়নিক উদ্ধার হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে পিস্তল, ল্যাপটপ, মোবাইল ও রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। তারা গোপন জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির তৈরির জন্য ঝাড়খণ্ডেজায়গার খোঁজ করছিল বলেও তথ্য উঠে এসেছে।
মূল অভিযুক্ত আসার দানিশ রাঁচী থেকে গ্রেফতার হয়েছে। ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর দানিশ ছাত্র পরিচয় দিয়ে গত জানুয়ারি থেকে সেখানেবাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিল। জঙ্গিদের মধ্যে তার ছদ্মনাম ছিল গজ়বা। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, দিল্লির জাতীয় রাজধানী অঞ্চল থেকে অস্ত্র জোগাড় করার চেষ্টা চালাচ্ছিল লে।কৃষি-রাসায়নিকের দোকান এবং অনলাইন বিক্রেতাদের থেকে রাসায়নিক কিনে জড়ো করে যাচ্ছিল। সেই সমস্ত উদ্ধার হয়েছে তার ভাড়ার ঘর থেকে। জানা গিয়েছে, তৈরি করা বিস্ফোরক পরীক্ষা করতে গিয়ে দানিশ জখমও হয়েছিল।
ধৃতদের মধ্যে আফতাব এবং আবু সুফিয়ান মুম্বইয়ের বাসিন্দা। সেখানে যাওয়ার পথে, দিল্লির নিজামুদ্দিন রেল স্টেশন থেকে অস্ত্র-সহ তাদের ধরা হয়। কামরান কুরেশি গ্রেফতারহয়েছে মধ্যপ্রদেশের রাজগড় থেকে। আর তেলঙ্গানা থেকে ধরা হয়েছে হাফিজ ইয়েমেনকে। সূত্রের খবর, ওই জঙ্গিরা আইএস-এর ঘাপটি মেরে থাকা একটি গোপন গোষ্ঠীর (স্লিপার মডিউল) সঙ্গে যুক্ত ছিল। কাজ ছিল বিস্ফোরক তৈরি, অস্ত্র জোগাড় করা ও সংগঠনের শক্তি বাড়ানো। তরুণদের দলে টানতে তারা ‘খিলাফত’ মডেল চালাচ্ছিল। কাজ করত রেহান নামে পাকিস্তানের এক জন হ্যান্ডলারের অঙ্গুলিহেলনে। সিগন্যাল নামে একটি মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে যোগাযোগ রক্ষা করতনিজেদের মধ্যে।
সূত্রের খবর, দুই দক্ষিণপন্থী নেতার ওই জঙ্গিদের নিশানায় থাকারকথা প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক জন শিবসেনারবলে দাবি তদন্তকারীদের। তাঁরা জানান, দিল্লি পুলিশ সমাজমাধ্যমে নজরদারির সূত্রে ওই জঙ্গিদের গতিবিধি টের পায়।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)