সেই বিতর্কিত ছবি। ছবি: সংগৃহীত।
দিল্লির বিবেক বিহার থানায় স্টেশন হাউস অফিসারের চেয়ারে বসা স্বঘোষিত ধর্মগুরু ‘রাধে মা’ ওরফে সুখবিন্দর কউর। আর তাঁর পাশেই গলায় লাল চেলি জড়িয়ে হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন স্বয়ং স্টেশন হাউস অফিসার সঞ্জয় শর্মা। এ ছবি সামনে আসতেই তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছিল বিভিন্ন মহলে। এ বার অন ডিউটি-তে রাধে মা’র প্রতি ‘ভক্তি প্রদর্শন’-এর জন্য সাসপেন্ড হতে হল বিবেক বিহার থানায় স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) সঞ্জয় শর্মাকে। রাধে মা’কে পাশে নিয়ে গান গেয়ে সাসপেন্ড আর এক সাব ইনস্পেক্টর ব্রজ ভূষণ।
আরও পড়ুন:
রাধে মা’কে কুর্সি ছেড়ে করজোড়ে উঠে দাঁড়ালেন পুলিশকর্তা!
‘বাবা’র হাওয়ায় ভেসে উঠে মোদীকে নিয়েও মন্তব্য ‘রাধে মা’র
দিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার নূপুর প্রসাদ জানান, কর্মক্ষেত্রে অপেশাদার আচরণের জন্য এসএইচও সঞ্জয় শর্মা এবং সাব ইনস্পেক্টর ব্রজ ভূষণকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইম্স-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, নিজের সাফাইতে সঞ্জয় শর্মা জানান, পাঁচ মিনিটের জন্য রাধে মা থানায় এসেছিলেন এখানকার শৌচালয় ব্যবহার করার জন্য। সে সময় রাধে মা তাঁর চেয়ারে বসেন। “আমি হাতজোড় করে তাঁকে অনুরোধ করি আমার চেয়ার ছেড়ে দেওয়ার জন্য”, বলেন সঞ্জয় শর্মা। সাসপেন্ড হওয়া এসএইচও-র দাবি, বিতর্কিত ওই ছবিটি সেই সময় তোলা হয়েছে। যদিও তাঁর ব্যাখ্যা মানতে চাননি গোয়া পুলিশের ডিজিপি মুক্তেশ চন্দর। টুইট করে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এসএইচও যে কোনও পথচারীকেই তাঁর শৌচালয় ব্যবহার করতে দেন? দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষ প্রমাণ হলে এসএইচও সঞ্জয় শর্মা এবং সাব ইনস্পেক্টর ব্রজ ভূষণের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ করা হবে।