জয়ীদের নিয়ে উচ্ছ্বাস এবিভিপি সমর্থকদের। —সংগৃহীত।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ ধরে রাখল গেরুয়া শিবিরের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)। চারটি গুরুত্বপূর্ণ পদের মধ্যে তিনটিতে জিতেছে তারা। সহ-সভাপতি জিতেছে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই। ভোটে লড়লেও শীর্ষ চার পদে খাতা খুলতে পারেনি দুই বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই ও আইসা।
সভাপতি, সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদক পদে জিতেছে এবিভিপি। তার মধ্যে সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদক পদে গেরুয়া শিবির জিতেছে বিপুল ভোটে। শুক্রবার ভোটগ্রহণ হয়েছিল। শনিবার সকাল থেকে শুরু হয় গণনা। গোড়া থেকেই এবিভিপি এগোচ্ছিল। বেলা বাড়তেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল কী হতে চলেছে। সন্ধ্যার মুখে চূড়ান্ত ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
স্বাভাবিক ভাবেই এই জয়ে উচ্ছ্বসিত গেরুয়া শিবির। অনেকেই এই জয়কে নরেন্দ্র মোদীর উপর ছাত্র সমাজের আস্থা হিসাবে দেখাতে চেয়েছেন। কেউ কেউ এ-ও বলেছেন, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদে এবিভিপির জয় আসলে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র হার। যদিও এই ভোটে বিরোধীরা জোড করে লড়েনি। তারা একক ভাবেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। কয়েকটি আসনে কংগ্রেসের সঙ্গে আম আদমি পার্টি (আপ)-র ছাত্র সংগঠনের বোঝাপড়া হয়েছিল।
২০১৯ সালে শেষ বার ছাত্র সংসদ ভোট হয়েছিল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সে বারও ছাত্র সংসদ দখল করেছিল এবিভিপি। কোভিড পর্বে তিন বছর ভোট হয়নি। এ বারও তারা জয় ধরে রাখল। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ ভোটে এ বার রেকর্ড ভোট পড়েছিল। প্রায় ৪২ শতাংশ ছাত্রছাত্রী ভোট দিয়েছিলেন নির্বাচনে। তার আগে ২০১৪ সালের ছাত্র সংসদ ভোটে ১৩ বছর পর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় দখল করেছিল এবিভিপি। সে দিক থেকে ২০১৪ সাল থেকে টানা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের ক্ষমতায় গেরুয়া বাহিনী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy