দিল্লির শীতে জবুথবু রাজস্থান থেকে আসা মেষপালকরা। ছবি: পিটিআই।
গোটা উত্তর ভারত জুড়ে ছড়িয়েছে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। কাশ্মীরে প্রায় সর্বত্র শুক্রবার ভেরের তাপমাত্রা ছিল হিমাঙ্কের ৫ থেকে ৬ ডিগ্রি নীচে। তুষারে ঢেকে গেল হিমাচলপ্রদেশের পর্যটক-প্রিয় বেশ কিছু গন্তব্য। আর ১৪ বছরে সব চেয়ে কনকনে নববর্ষ কাটাল রাজধানী নয়াদিল্লি। ১.১ ডিগ্রি ঠান্ডার মধ্যেই দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লি-হরিয়ানা সীমানাবর্তী রাস্তায় রাত কাটাচ্ছেন হাজার হাজার কৃষক, কেন্দ্রের পাশ করানো তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে মাসাধিক কাল যাঁরা আন্দোলনে। আবার বছরের প্রথম দিনেই কুয়াশার কারণে একের পর এক দুর্ঘটনায় পাঁচটি প্রাণহানি হয়েছে যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে।
পুরনো ও নতুন দিল্লি কাল গভীর রাত থেকেই ঢেকে গিয়েছিল কুয়াশার মোটা চাদরে। তা পাতলা হয়ে সূর্যের মুখ দেখতে দেখতে বেলা দশটা বাজে দিল্লিবাসীর। দৃশ্যমানতা কম থাকায় রাস্তায় যানবাহন ছিল বেশ কম। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এ দিন ভোর পাঁচটায় রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২০০৬-এর প্রথম দিনটিতে তাপমাত্রা ছিল ০.২ ডিগ্রি। ২০২০-র প্রথম দিনেও তাপমাত্রা ছিল বেশ কম। তবে সেটা ২.৪ ডিগ্রি।
তবে গোটা উত্তর ভারতেই এ দিন সকালের সূর্যকে আড়াল করেছিল ঘন কুয়াশা। কোথাও কোথাও দৃশ্যমানতা নেমে গিয়েছিল শূন্যে। যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে একের পর এক তিনটি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন। আহত হয়েছেন অন্তত এক ডজন মানুষ। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশের এটাওয়ার কাছে একটি দুর্ঘটনায় পর পর আটটি গাড়ি একের পর এক ধাক্কা মারে। এর কয়েকটি উল্টে রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এই একটি দুর্ঘটনাতেই মারা যান ৩ জন। সাত ঘণ্টার মধ্যে আরও দু’টি দুর্ঘটনার কারণও যে দৃশ্যমানতার অভাব, পুলিশ তা স্বীকার করেছে।
বছরের প্রথম দিন জলশূন্য ভাবে কাটাতে হয়েছে কাশ্মীরের বাসিন্দাদের। উপত্যকার দুয়ার কাজিগুন্ডে এ দিন তামপাত্রা ছিল মাইনাস ৫.৬। শ্রীনগরের প্রায় সর্বত্র হিমাঙ্কের ৫ থেকে ৬ ডিগ্রি নীচের তাপমাত্রায় পাইপের জল বরফ হয়ে যায়। অনেক জায়গায় পাইপ ফেটে বিপত্তি হয়। তবে কাশ্মীরে সর্বত্রই প্রায় শুষ্ক আবহাওয়ার জন্য তুষারপাত হয়নি। গুলমার্গে স্কি করতে হাজির হয়েছেন বেশ কিছু বিদেশি পর্যটক। কিন্তু বরফ না-পড়ায় তাঁরা হতাশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy