বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য চাপ দিত শ্বশুরবাড়ি থেকে। সেই চাহিদা না মেটায় তিন বছর ধরে বধূকে শৌচাগারে আটকে রেখেছিল দ্বারভাঙার এক পরিবার। রবিবার মেয়েটির বাপের বাড়ির অভিযোগ পেয়ে শেষ পর্যন্ত এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই মহিলার স্বামী প্রভাতকুমার সিংহ, শ্বশুর ধীরেন্দ্র সিংহ, শাশুড়ি ইন্দ্রা সিংহকে।
জামা-কাপড় অবিন্যস্ত। নোংরা কাপড় ছিঁড়েও গিয়েছে কোথাও কোথাও। রুক্ষ চুলে চিরুনির আঁচড় পড়েনি বহু দিন। হাত-পায়ের নখ বেড়ে বীভৎস হয়ে গিয়েছে। পুলিশ কর্মীরা যখন ওই মহিলাকে শৌচাগারের বাইরে নিয়ে আসেন, তখন তাঁর অবস্থা ছিল এ রকমই। তিন-তিনটে বছর সূর্যের আলো দেখেননি। বাইরে বেরিয়ে প্রথমেই তাই জোরালো আলোয় চোখ বুঁজে যায় তাঁর।
তাঁর সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, বিয়ের আগে তাঁরা থাকতেন দ্বারভাঙা জেলারই পাতসন গ্রামে। প্রভাতকুমারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল ২০১০-এ। বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য অত্যাচার শুরু হয়। পুলিশকে ওই মহিলা জানিয়েছেন, মেয়ে জন্মানোর পর নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। মায়ের কাছ থেকে একরত্তিকে আলাদা করে দেওয়া হয় তখনই। শেষ তিন বছরে বাইরের কারও মুখ দেখার তো প্রশ্নই ছিল না। বাপের বাড়ির আত্মীয়রা এলেও এড়িয়ে যেতে হত তাঁকে। আর অন্যদের খাওয়ার পাতে কিছু বাঁচলে মাঝেমধ্যে সে সব জুটত তাঁর ভাগ্যে।
যে মেয়েকে ছেড়ে তিন বছর আগে আশ্রয় নিতে হয়েছিল শৌচাগারে, রবিবার সেখান থেকে বেরিয়ে প্রথমেই মেয়ের খোঁজ করেন মা। ছোট্ট মেয়েটা এত দিনে বেশ কিছুটা বড় হয়ে গিয়েছে। মা-কে তার তিন বছরের জীবনে সে প্রায় দেখেইনি। তাই মা মেয়ের কাছে ছুটে গেলেও মেয়ে চিনতে পারেনি মা-কে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy