কাছাড়ে আরও একজন ডেঙ্গি আক্রান্তের সন্ধান মিলল। গত এক বছরে এটি পঞ্চম ঘটনা।
আগের চার রোগীই বাইরে থেকে জ্বর নিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। শিলচরে চিকিৎসা করাতে গিয়ে ডেঙ্গি ধরা পড়ে। কিন্তু বর্তমানে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রামনগর-চিরুকান্দি রোডের আইনুদ্দিন লস্কর বেশ কিছু দিনের মধ্যে কোথাও যাননি। তাঁর এমন জ্বর তাই উদ্বেগে রেখেছে সবাইকে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ডেঙ্গি ছড়ানো এডিস মশা এই অঞ্চলে বাসা বেঁধেছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ অবশ্য একে গুরুতর বিষয় বলে মানতে নারাজ। যুগ্ম অধিকর্তা সুদীপজ্যোতি দাস বলেন, আগের চার জনই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। গত কাল মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছেন আইনুদ্দিন। ২৪ ঘণ্টাতেই তাঁর উন্নতি হয়েছে। বেড়েছে রক্তের প্লেটেলেট কাউন্ট। এখানেই মশার কামড়ে তিনি ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন কিনা তা নিয়ে সুদীপবাবুর সন্দেহ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে তাঁর সঙ্গে মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে কথা বলব।’’ তাঁর ধারণা পেশায় ওষুধ ব্যবসায়ী আইনুদ্দিনকে মাঝে মাঝেই বাইরে যেতে হয়। বাইরেই কোথাও ডেঙ্গির মশা কামড়েছে তাঁকে।
আইনুদ্দিন লস্কর আজও জানিয়েছেন, তিনি এর মধ্যে জেলার বাইরে কোথাও যাননি। রামনগর, চিরুকান্দি ছাড়া শহরের অম্বিকাপট্টি, তুলাপট্টি প্রভৃতি এলাকায় তিনি ঘোরাফেরা করেন। ওই সব জায়গার কোথাও তাঁকে এডিস মশায় কামড়ে থাকতে পারে। তিনি বলেন, কিছু দিন থেকে জ্বরবোধ হচ্ছিল। পরিচিত এক চিকিৎসকের পরামর্শে ডেঙ্গি পরীক্ষা করান। তাতেই ডেঙ্গি ধরা পড়ে। গত কালই তিনি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। যুগ্ম অধিকর্তা সুদীপজ্যোতি দাসের বক্তব্য, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে তাঁরা তৈরি। ডেঙ্গি আক্রান্তদের বাড়িঘর ও সম্ভাব্য এলাকাগুলিতে ওযুধ দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রেও তা গুরুত্ব সহকারে করা হবে।