শুক্রবার অহমদাবাদে তাঁর ২৫ বলে ৬৩ রানের ইনিংস ভারতকে জিতিয়েছে। শুধু মাঠের ভিতরের হার্দিক পাণ্ড্য, নয়, আলোচনায় মাঠের বাইরের হার্দিকও।
হার্দিকের পাঁচটি ছক্কার মধ্যে একটি একজন ক্যামেরাম্যানের হাতে গিয়ে লাগে। সেই ক্যামেরাম্যান যখন যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন, তখন ভারতীয় দলের এক চিকিৎসক তাঁর হাতে আইস প্যাক লাগিয়ে দেন। ঘটনা তার পর। হার্দিক নিজে সেই ক্যামেরাম্যানের খবর নেন। মাঠের ধারে গিয়ে হার্দিক প্রথমে তাঁর হাত পরীক্ষা করার জন্য আইস প্যাকটি খুলে ফেলেন। পরে আবার সেটি লাগিয়ে দেন এবং তাঁকে আলিঙ্গন করে চলে যান। ওই ক্যামেরাম্যান হাসি থামাতে পারেননি।
অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব আউট হওয়ার পর ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই ছক্কা মারেন হার্দিক। সেটা কি আগের থেকেই ঠিক করে নেমেছিলেন? ম্যাচের পর হার্দিক বলেন, “এই মাঠে অনেক ক্রিকেট খেলেছি। এখানকার পিচ হাতের তালুর মতো চিনি। জানতাম, ব্যাটেবলে ভাল ভাবে আসবে। তাই প্রথম বলেই ছক্কা মারব ঠিক করেছিলাম। খেলতে নামার আগে আমার বান্ধবীকে বলেওছিলাম সেটা।”
শুক্রবার মাঠে ছিলেন হার্দিকের বান্ধবী মাহিকা শর্মা। অর্ধশতরানের পর মাহিকার দিকে চুমুও ছোড়েন হার্দিক। কয়েক দিন আগেই মাহিকার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে এসেছে। বান্ধবীকে নিয়ে সমাজমাধ্যমে সরবও হয়েছিলেন তিনি। এ বার ব্যক্তিগত মাইলফলকের পর সেই বান্ধবীকেই চুম্বন ছোড়েন হার্দিক। পাশাপাশি দর্শকদের দিকেও কয়েকটি চুম্বন ছুড়লেন ভারতীয় ব্যাটার।
মাত্র ১৬ বলে অর্ধশতরান করেন হার্দিক। ভারতের হয়ে এটি আন্তর্জাতিক টি-২০তে দ্বিতীয় দ্রুততম অর্ধশতরান। দ্রুততম অর্ধশতরানের রেকর্ড এখনও যুবরাজ সিংহের দখলে। ২০০৭ সালে টি-২০ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১২ বলে ৫০ রান করেছিলেন যুবি। হার্দিক জানতেন না যে, তিনি নজির গড়েছেন। ভারতীয় অলরাউন্ডার বলেন, “আমি সত্যিই জানতাম না। আউট হয়ে ফেরার পর একজন বলল। ভাবলাম ইশ্, অল্পের জন্য যুবি ভাইয়ের রেকর্ড ভাঙতে পারলাম না।” পরে অবশ্য হার্দিক জানালেন, তিনি মজা করে কথাটি বলেছেন। তিনি খুব খুশি যে, রেকর্ড এখনও যুবরাজেরই দখলে।