অভিভাবকহীন লালা।
লালার টাউন কমিটি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে থমকে গিয়েছে ছোট প্রান্তিক শহরটির যাবতীয় উন্নয়ন। শহরের সাফাই নিয়মিত না হওয়ায় বাড়ছে আবর্জনার স্তূপ। শহর পরিষ্কার রাখতে বেসরকারি ভাবে সাফাই অভিযান চালানোর একটা চেষ্টা হচ্ছে। পানীয় জল সরবরাহেও মাঝে মাঝেই দেখা দিচ্ছে সঙ্কট। জল সঙ্কটের জন্য ইতিমধ্যেই লালার মানুষকে প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে হয়েছে। সার্বিক ভাবে অব্যবস্থা গ্রাস করেছে লালাকে।
গত ৩০ নভেম্বর অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যূত হয়েছেন কংগ্রেস পরিচালিত বোর্ডের সভাপতি বিজয়লক্ষ্মী দেবনাথ। পুরনেত্রীর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে। সমর্থন জানায় কংগ্রেসিরা। এরপর প্রায় এক মাস কাটতে চললেও টাউন কমিটি পুনর্গঠিত হয়নি।
দশ সদস্যের লালা টাউন কমিটির সদস্যদের মিটিং ডেকে বোর্ড গঠন করার কথা জেলাশাসক মলয় বরার। অন্তত গত এক মাস ধরে বার বার সে কথাই জানিয়েছেন লালার সার্কেল অফিসার মধুমিতা নাথ। আপাতত তিনিই টাউন কমিটির দায়িত্বে। যদিও তাঁর ‘নেতৃত্ব’-এ টাউন কমিটি কার্যত অকেজো হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে নির্বাচিত সদস্যদের একটি দল জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে বৈঠক ডাকার আবেদনও জানিয়েছেন। কিন্তু কোথায় কী!
আগের ঘটনা এই রকম। লালা টাউন কমিটির ১০টি ওয়ার্ডের পাঁচটিতে জেতে বিজেপি। চারটি যায় কংগ্রেসের দখলে। দশম আসটিতে জয়লাভ করেন নির্দল সদস্য বিজয়লক্ষ্মী দেবনাথ। বিজেপিকে ঠেকাতে কংগ্রেস বিজয়লক্ষ্মীকে সভানেত্রী নির্বাচিত করেন। সম্প্রতি কমিটি প্রধানের কাজকর্মে অসন্তুষ্ট হয়ে ওঠেন তাঁর সমর্থক চার কংগ্রেস সদস্য। এই সুযোগে বিজেপি প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। সমর্থন পান কংগ্রেসের চার সদস্যের। যদিও বিজেপির পাঁচ সদস্যের মধ্যে এক জন নির্দল প্রধানকেই সমর্থন করেন। ফলে ৮-২ ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হন বিজয়লক্ষ্মী দেবনাথ। এরপর থেকেই অচলাবস্থা। নতুন বোর্ড গঠন না হলে সেই অচলাবস্থা কাটবে না বলেই মনে করছেন লালাবাসীদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy