মাসুদ আজহার
মুহূর্তে রং বদলালো চিন। মাসুদ আজহারকে রাষ্ট্রপুঞ্জে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা দেওয়ার চেষ্টা গত কালই আটকে দিয়েছে বেজিং। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ভিন্ন সুর শোনা গেল বেজিংয়ের মুখে।
পঠানকোট হামলার মূল চক্রী, জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের প্রধানকে যাতে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ তকমা দেওয়া যায়, সে জন্য ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে নিরাপত্তা পরিষদের কমিটিতে প্রস্তাব পাশ করাতে চেয়েছিল আমেরিকা, ব্রিটেন কিংবা ফ্রান্সের মতো দেশগুলি। কিন্তু এই প্রস্তাব নিয়ে সর্বসম্মতি না হওয়ার অজুহাতে সেই চেষ্টায় জল ঢেলে দিয়েছে চিন। আর প্রথমবারের জন্য নয়, এ নিয়ে চারবার একই কাজ করল বেজিং। তবে তার জেরে নয়াদিল্লিকে ক্ষুব্ধ হতে দেখেই আজ ক্ষতে মলম লাগানোর কথা বলতে শুরু করেছে চিন। সে দেশের সহকারী বিদেশমন্ত্রী চেন শিওডং আজ বলেছেন, ‘‘ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী চিন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘ভারতকে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হিসেবেই দেখি।’’
বেজিং মাসুদকে নিয়ে প্রস্তাব আটকানোয় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল ভারত। চিনকে নিশানা করে নয়াদিল্লির বক্তব্য ছিল, ‘‘সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়ার এই প্রয়াসের ফল উল্টো হতে বাধ্য।’’ আর তার পরেই ক্ষুব্ধ দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ককে ফের জোড়ার চেষ্টায় সুসম্পর্কের বার্তা হাজির করল চিনের বিদেশ মন্ত্রক।
জঙ্গি মাসুদকে শুরু থেকেই সরাসরি মদত করে চলেছে পাকিস্তান। সেখানকার মাটি থেকে ভারতে সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেওয়ার যাবতীয় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জইশের মতো সংগঠন। নয়াদিল্লির অভিযোগ, পাক সরকারের মদতেই মাসুদের এই বাড়বাড়ন্ত। কিন্তু যে ভাবে গত দু’বছর ধরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে মাসুদকে মদত করে চলেছে চিন, তা বিশ্বে বেজিংয়ের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy