মহাকুম্ভে হারিয়ে যাওয়া ২০ হাজারেরও বেশি মানুষকে ঘরে ফেরাল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)! শনিবার উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়েছে, কুম্ভ মেলাপ্রাঙ্গণের বিভিন্ন জায়গায় বসানো ডিজিটাল পদ্ধতিতে কাজ করা ‘হারানো ও প্রাপ্তি কেন্দ্র’গুলির সাহায্যেই প্রিয়জনদের কাছে ফিরেছেন মেলায় হারিয়ে যাওয়া মানুষেরা। আর এর নেপথ্যে রয়েছে এআইয়ের কারসাজি।
আরও পড়ুন:
প্রয়াগরাজ রেলস্টেশন থেকে শুরু করে মেলাপ্রাঙ্গণের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় একাধিক ‘হারানো ও প্রাপ্তি কেন্দ্র’ রয়েছে। পুণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য গত বছরের ৭ ডিসেম্বর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিজে কেন্দ্রগুলির উদ্বোধন করেন। প্রতিটি কেন্দ্রেই রয়েছে উন্নততর এআই প্রযুক্তি। এই কেন্দ্রগুলিতে মুখমণ্ডল শনাক্তকরণ, মেশিন লার্নিং এবং বহুভাষিক কথোপকথনের মতো প্রযুক্তি রয়েছে। ফলে হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তি বা তাঁর পরিজনেরা দেশের যে প্রান্তেরই হোন না কেন, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভাষা অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় না। এই কেন্দ্রগুলির তত্ত্বাবধানে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ, প্রশাসন এবং বিভিন্ন বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। কুম্ভমেলায় কেউ হারিয়ে গেলে তাঁরা এই কেন্দ্রগুলিতে এসে অপেক্ষা করতে পারেন। সে জন্য সেখানে রয়েছে নানা সুযোগসুবিধাও। বসার জায়গা, প্রাথমিক চিকিৎসার বন্দোবস্ত, বিশ্রামাগার এবং আরও নানা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে কেন্দ্রগুলিতে।
আরও পড়ুন:
সরকারি হিসাব বলছে, মৌনী অমাবস্যার সময়েও ৮,৭২৫ জন পুণ্যার্থীকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে সাহায্য করেছে এই কেন্দ্রগুলি। মকর সংক্রান্তির স্নানের দিন ৫৯৮ জন এবং বসন্ত পঞ্চমীর দিন আরও ৮১৩ জন ঘরে ফিরতে পেরেছেন। সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এই বিশেষ দিনগুলি ছাড়াও গোটা মেলা জুড়ে ১০ হাজারেরও বেশি হারিয়ে যাওয়া মানুষকে পরিজনদের কাছে ফিরিয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা প্রায় ২০ হাজার। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, তার মধ্যে বেশির ভাগই বয়স্ক ও মহিলা। সঙ্গে সে রাজ্যের পুলিশও এই উদ্ধার অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে।