এখানেই ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি কেরালার মতো একটি প্রিমিয়াম ইনস্টিটিউটের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। দেশের কোনও শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা যা দিতে পারে তার সমস্ত গুণ ও বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি কেরালা। বিশ্বমানের শিক্ষার সুবিধা, দক্ষ অনুষদ এবং ক্যাম্পাস প্লেসমেন্টে — এগুলির ট্র্যাক রেকর্ড রীতিমতো চোখে পড়ার মতো । এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব থেকে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল এখানে পড়াশুনা চলাকালীন শিক্ষার্থীরা শিল্পক্ষেত্রে সরাসরি অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পায়। যা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এটিকে আলাদা করে দিয়েছে। এখানকার পাঠরত শিক্ষার্থীরা কোর্স শেষ করার পরে বাস্তব প্রেক্ষাপটে কাজ করা জন্য প্রস্তুত থাকে। শুধুমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবেই নয়, ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি কেরালা সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রের সংস্থাগুলির প্রযুক্তি পরামর্শদাতা হিসেবেও কাজ করে। এবং বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের উপায় প্রদান করে। শিক্ষা ও শিল্প ক্ষেত্রে এই সরাসরি সংযোগ শিক্ষার্থীদের বাস্তব-জীবনে হাতে-কলমে প্রকল্পগুলিতে অত্যন্ত মূল্যবান অভিজ্ঞতা অর্জন করে।
এই বিশ্ববিদ্যালয় ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO), ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ স্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (IIST), কেরালা সয়েল সার্ভে বিভাগ, ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানিং অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার (NATPAC), সেন্টার ফর ওয়াটার রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (CWRDM) সহ বেশ কিছু নামী সংস্থার সঙ্গে কাজ করে। পাশাপাশি, এই বিশ্ববিদ্যালয় সেমি কন্ডাক্টর ল্যাবরেটরি- ডিপার্টমেন্ট অফ স্পেস, সেন্টার ফর মেটেরিয়ালস ফর ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি, রাবার রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া এবং কেরালা ইলেকশন কমিশনের সঙ্গে যৌথ গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মেকার ভিলেজ, থিঙ্কবাটর, ইন্ডিয়া ইনোভেশন সেন্টার ফর গ্রাফিন, এবং ইন্টেলিজেন্ট আইওটি সেন্সর এবং কেরালা ব্লকচেইন একাডেমির অধীনে বিভিন্ন সেন্টার অফ এক্সিলেন্স ইত্যাদি জায়গায় ইন্টার্নশিপ করার বিকল্পও রয়েছে শিক্ষার্থীদের কাছে। শিক্ষার্থীদের কাছে এর অর্থ ও গুরুত্ব অপরিসীম। নবীন হওয়া সত্ত্বেও তারা ডেটা সায়েন্টিস্ট, ডেটা অ্যানালিস্ট, ডিজিটাল মিডিয়া অ্যানালিস্ট, এআই/মেশিন লার্নিং ইঞ্জিনিয়ার, অ্যাসোসিয়েট ইঞ্জিনিয়ার-জিআইএস, অ্যাসোসিয়েট-সাইবার সিকিউরিটি অ্যানালিস্ট, সাইবার অ্যাসোসিয়েট সিকিউরিটি ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদির মতো বিশেষজ্ঞ পদে নিযুক্ত হয়।
কেরালা ইউনিভার্সিটি অফ ডিজিটাল সায়েন্সেস, ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজি (ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি কেরালা) আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২১-এর ফেব্রুয়ারিতে উদ্বোধন করা হয়েছিল৷ কেরালা সরকার ২০ বছরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কেরালা (IIITM-K)-কে উন্নত করার পরেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা করেছে৷ ২০২০ সালের জানুয়ারিতে এখানে পড়াশুনা চালু করা হয়েছে। তিরুবনন্তপুরমের টেকনোসিটি এবং টেকনোপার্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলি রয়েছে।
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ, ইন্টারনেট অফ থিংস, ইলেকট্রনিক সিস্টেমস এবং অটোমেশন, ইমেজিং প্রযুক্তি, ডেটা অ্যানালিটিক্স এবং বিগ ডেটা, সাইবার নিরাপত্তা, ব্লকচেইন ইত্যাদি ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর এবং ডক্টরাল স্তরে শিক্ষার্থীদের সক্ষম করে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিয়ত বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে চলেছে।
অত্যাধুনিক ল্যাব, ক্লাস রুম এবং লাইব্রেরির পাশাপাশি, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে বিশ্বের সেরা ও স্বীকৃত অনুষদরা। যাঁদের গবেষণাপত্র বিশ্বের অন্যতম সেরা জার্নালগুলিতে প্রতিনিয়ত প্রকাশিত হয়। আধুনিক প্রযুক্তির বিশেষজ্ঞ, অনুষদ ও শিক্ষকদের সান্নিধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন একটি প্রাণবন্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে কঠোর চিন্তা, উদ্ভাবন এবং সৃজনশীলতার প্রচার করে। এর পাশাপাশি এখানে একটি দক্ষ কেরিয়ার গাইডেন্স এবং প্লেসমেন্ট ইউনিট রয়েছে। যার ট্র্যাক রেকর্ড এক কথায় দুর্দান্ত।
রিয়েল-লাইফ প্রোজেক্টে কাজ করার এবং সেন্টার অফ এক্সিলেন্সে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগগুলি শুধুমাত্র কাজের অভিজ্ঞতা অর্জনের বিকল্প নয় বরং শিক্ষার্থীদের কাছে এটি একটি উপার্জনের ক্ষেত্রও বটে! কোচিতে অবস্থিত মেকার ভিলেজটি দেশের বৃহত্তম ইলেকট্রনিক হার্ডওয়্যার ইনকিউবেটর। বর্তমানে প্রায় ৭০টি ইলেকট্রনিক টেক স্টার্টআপ রয়েছে এখানে। ইন্ডিয়া ইনোভেশন সেন্টার ফর গ্রাফিন হল গোটা দেশে গ্রাফিনের জন্য তৈরি করা প্রথম গবেষণা কেন্দ্র। গ্রাফিনের কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য এটি একটি বিস্ময়কর উপাদান হিসাবে পরিগণিত হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে এটি আগামী দিনে ইলেকট্রনিক্স শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে৷ কেরালা ব্লকচেইন অ্যাকাডেমি দেশের মধ্যে প্রথম অ্যাকাডেমি যেটি শিক্ষার্থীদের এমন অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষিত করছে।