বাঁ দিকে দিগ্বিজয় সিং। ডান দিকে রাহুল গাঁধী।
সোমবারই কর্মীদের স্বার্থে রাহুল গাঁধীকে কংগ্রেসের সভাপতি পদে থেকে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত। এক দিন পরেই সুর নরম করলেন কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষ এক নেতা। দিগ্বিজয় সিংহ বললেন, না চাইলে রাহুলকে জোর করা যায় না। এই প্রথম কংগ্রেস নেতৃত্ব প্রকাশ্যে স্বীকার করে নিলেন, রাহুল গাঁধী দলের রাশ ধরতে আর রাজি নন।
একটি টিভি চ্যানেলকে দিগ্বিজয় বলেন, ‘‘রাহুল গাঁধী কংগ্রেসের সভাপতি হতে না চাইলে তাঁকে চাপ দিতে পারি না।’’ তিনি কি রাহুলকে এই নিয়ে অনুরোধ করবেন? প্রশ্নের জবাবে দিগ্বিজয় বলেন, ‘‘এই অনুরোধ সকলেই জানেন। কিন্তু এটা রাহুলের উপর নির্ভর করছে। এক জনকে কী ভাবে আপনি চাপ দেবেন? আমরা সকলকেই রাজি করানোর চেষ্টা করছি।’’
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে শোচনীয় ভাবে হারে কংগ্রেস। সেই দায় নিয়ে দলের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন রাহুল গাঁধী। দলের অন্তর্বর্তিকালীন সভানেত্রী পদে বসেন সনিয়া গাঁধী। রাহুল আর সভাপতি পদে বসতে রাজি নন। অসুস্থতার কারণে সনিয়াও অব্যাহতি চান। কংগ্রেসের নির্বাচন কমিটির সিদ্ধান্ত, ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দলে স্থায়ী সভাপতি নির্বাচিত করা হবে। আগামী সপ্তাহেই ঘোষণা করা হতে পারে নির্বাচনের দিনক্ষণ।
তার পরেও গাঁধী পরিবার-ঘনিষ্ঠ গহলৌত রাহুলকে সভাপতি পদে চেয়ে সওয়াল করেন। সোমবার তিনি মন্তব্য করেন, রাহুল সভাপতি পদে না থাকলে দলের নিচু তলার কর্মীরা ঘরে বসে পড়বেন। সাধারণ কংগ্রেস কর্মীদের কথা ভেবে রাহুলের এই পদে বসা উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy