নগদে সাপ্তাহিক তলব না পেয়ে ক্ষুব্ধ চা শ্রমিকরা ঘেরাও করতে পারে জেলাশাসকের দফতর— গোয়েন্দা সূত্রে এমনই খবর পেয়েছিল করিমগঞ্জ পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের রুখতে আজ সকাল থেকে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মোড়া ছিল ডিএম অফিস। মোতায়েন ছিলেন সিআরপি, অসম পুলিশের জওয়ানরা। ছিল উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার ‘বজ্র’ গাড়িও। কিন্তু দুপুর গড়ালেও দেখা মিলল না আন্দোলনকারীদের। শহরের কোথাও চিহ্ন ছিল না বিক্ষোভ মিছিলের। পরিস্থিতি মেপে শেষে সরিয়ে দেওয়া হয় অতিরিক্ত বাহিনী।
চা বাগান শ্রমিকদের সাপ্তাহিক তলবের টাকা নগদে দেওয়ার বদলে ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার নির্দেশ জারি করেছে রাজ্য সরকার। ডিসেম্বরের মধ্যে সব শ্রমিকদের অ্যাকাউন্ট খোলার সময়সীমা ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রান্তিক শহর করিমগঞ্জে তা সম্ভব হয়নি। নগদে টাকা না পেয়ে দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন জেলার চা বাগানগুলির অনেক শ্রমিকই। শ্রমিকদের দ্রুত বেতন মেটানোর দাবিতে অনশনে বসেছিলেন উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ। প্রশাসনের তরফে সেই সময় জানানো হয়েছিল, বাগানগুলিতে মোবাইল পরিষেবা চালু না হওয়া পর্যন্ত সাপ্তাহিক তলব নগদেই দেওয়া হবে। এখনও অনেক বাগানে ভাল মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা মেলে না। অভিযোগ, তা স্বত্বেও কয়েকটি বাগানে ‘ক্যাশলেস’ বেতন নিতে শ্রমিকদের একাংশের উপর চাপ দেওয়া হচ্ছে।
আজ পাথারকান্দিতে কয়েকটি বাগান পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা জেলার সার্কেল অফিসারের সঙ্গে দেখা করে অসহায় শ্রমিকদের সাপ্তাহিক তলব নগদে মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। তাঁরা জানান, নগদহীন বেতন নেওয়ার প্রক্রিয়া যথেষ্ট কঠিন। বাগান শ্রমিকরা চা পাতা তোলেন বলে তাঁদের আঙুলের ছাপে তারতম্য হয়। ‘বায়োমেট্রি’ যন্ত্রে আঙুলের ছাপ দেওয়ার সময় তাতে সমস্যা হয়। সে দিকে তাকিয়ে পুরনো পদ্ধতিতেই বাগান শ্রমিকদের টাকা মেটানোর আর্জি জানানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy