দেড় দশকের টালবাহানার পরে অবশেষে ডিএনএ প্রযুক্তির প্রয়োগ ও তার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের আইন করতে বিল পাশ হল লোকসভায়। ডিএনএ পরীক্ষা ব্যক্তির পরিচয় ও কারও সঙ্গে সম্পর্ক নির্ধারণে নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে পারে। কিন্তু ভারতে হাতে গোনা ক্ষেত্রেই এর ব্যবহার হয়। সরকারি হিসেবে, মাত্র ১ শতাংশেরও কম ক্ষেত্রে। বিলটি আইনে পরিণত হলে ফৌজদারি মামলায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ডিএনএ পরীক্ষা সহজ হবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অনুমতির শর্ত রয়েছে বিলে।
বাবা-মায়ের পরিচয়, অভিবাসন সংক্রান্ত বিতর্ক বা অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রেও কাজে আসবে এই আইন। এ সব দেওয়ানি বিষয়ে অনুমতির শর্ত থাকছে কি না তা স্পষ্ট নয় বিলে। এই আইন হলে জাতীয় ও আঞ্চলিক স্তরে ডিএনএ তথ্য-ব্যাঙ্ক গড়া হবে। তাতে সন্দেহভাজন, বিচারাধীন ও অপরাধী ব্যক্তিদের ডিএনএ-তথ্য রাখা হবে।
বিল নিয়ে বিতর্কে অংশ নিয়ে আরএসপির এন কে প্রেমচন্দ্রন প্রশ্ন তোলেন, ব্যক্তিপরিসরের তথ্যের গোপনীয়তার অধিকার এতে অটুট থাকবে কি না। বিলটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানোরও দাবি তোলেন তিনি। বিলটিকে স্বাগত জানায় তৃণমূল। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ফৌজদারি ও দেওয়ানি বিচারের ক্ষেত্রে তো বটেই, সামগ্রিক ভাবে দেশবাসীর পক্ষেও এটি খুব ভাল একটি বিল।’’ তবে তিনিও জানতে চান, যে সংস্থা ডিএনএ-র নমুনা নেবে, তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করলে আইনি কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে?
ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারের আইন করলে অসৎ উদ্দেশ্যে তা ব্যবহারের আশঙ্কা দীর্ঘদিনের। সেই আশঙ্কা পুরো নির্মূল করা যে অসম্ভব, তা মেনে নেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। তাঁর কথায়, ‘‘যে কোনও কিছুরই অপব্যবহার হতে পারে। যে কোনও স্তরে। রক্তের নমুনা সংগ্রহের ল্যাবেও এটা ঘটতে পারে।’’ সাংসদদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, ‘‘সব দিক বিবেচনায় রেখেই বিলটি এনেছে সরকার। এটি সার্বিক রূপ পেয়েছে দীর্ঘ ১৪-১৫ বছরের চেষ্টায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy