পায়েল তদভি।
জাতিবিদ্বেষের শিকার হয়েই বিওয়াইএল নায়ার হাসপাতালের রেসিডেন্ট চিকিৎসক পায়েল তদভি আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁর মা। পায়েলের আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে আজ ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ভক্তি মেহরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পরে গ্রেফতার করল মুম্বইয়ের অগ্রীপাড়া থানার পুলিশ। ভক্তি ছাড়াও অন্য দুই চিকিৎসক হেমা আহুজা ও অঙ্কিতা খণ্ডেলওয়ালের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এ দিন দায়রা আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেছেন ওই দু’জন।
ইতিমধ্যেই ভক্তি-সহ অভিযুক্ত তিন চিকিৎসকের সদস্যপদ খারিজ করেছে ‘মহারাষ্ট্র অ্যাসোসিয়েশন অব রেসিডেন্ট ডক্টরস’। উপযুক্ত তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষকে।
আজ বিওয়াইএল নায়ার হাসপাতালের সামনে পায়েলের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান তাঁর মা আবেদা ও স্বামী সলমন। প্রতিবাদে শামিল হয় ‘বঞ্চিত বহুজন আঘাদি’ এবং আরও অনেক দলিত এবং আদিবাসী সংগঠন। তদভি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ। জানিয়েছেন, প্রয়োজনে ন্যায়বিচারের জন্য লড়াইয়েও সামিল হবেন। আজ মহারাষ্ট্র মহিলা কমিশন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নোটিস পাঠিয়েছে। র্যাগিং রুখতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে আট দিনের মধ্যে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। পায়েলের মৃত্যুর প্রতিবাদে আজ মহারাষ্ট্রের ঠাণে ও পালঘরেও দু’টি পৃথক মিছিল করে জেলাশাসকের কাছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার দাবি তুলেছে শ্রমজীবীদের সংগঠন।
পায়েলের মা আবেদার কথায়, ‘‘পায়েলের মতো পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের সদস্যদের মৃত্যুর দায়িত্ব কি নেবে সরকার?’’ তাঁর অভিযোগ, পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের সদস্য হওয়ায় পায়েলকে নিয়মিত মানসিক নির্যাতন করতেন অভিযুক্ত তিন চিকিৎসক। রোগীদের সামনেও মেয়ের মুখে ফাইল ছুড়ে মেরেছে তারা। পায়েলের স্বামী সলমনের অভিযোগ, তিন চিকিৎসক তাঁর স্ত্রীকে খুনও করে থাকতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy