রাজস্থানের উদয়পুরে এক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার ম্যানেজারকে ধর্ষণের অভিযোগের তদন্তে আরও নতুন তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। তরুণীর মেডিক্যাল রিপোর্টও হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাতে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। নির্যাতিতার গোপনাঙ্গে এবং শরীরের অন্যত্র আঘাতের চিহ্নও রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে মেডিক্যাল রিপোর্টে।
ঘটনাটি ঘটেছিল গত শনিবার। ওই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার সিইওর জন্মদিন এবং নতুন বছর উপলক্ষে উদয়পুরের এক হোটেলে পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল কর্মীদের জন্য। ওই পার্টিতে আমন্ত্রিত ছিলেন নির্যাতিতা ম্যানেজারও। সূত্রের খবর, শনিবার রাত ৯টা নাগাদ পার্টি শুরু হয়। চলে রাত দেড়টা পর্যন্ত। সেখানে মদ্যপানও চলে। নির্যাতিতার অভিযোগ, রাত দেড়টা নাগাদ তিনি অসুস্থ বোধ করলে সংস্থার সিইও তাঁকে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ওই সময়ে সংস্থার অপর এক মহিলা আধিকারিক এবং তাঁর স্বামীও ছিলেন।
তরুণী পুলিশকে জানান, ওই সময় গাড়ি চালাচ্ছিলেন অপর মহিলা আধিকারিকের স্বামী। বাকি তিন জনই বসেছিলেন পিছনের আসনে। মাঝরাস্তায় অভিযুক্তেরা গাড়ি থামিয়ে সিগারেটের মতো দেখতে কিছু একটি জিনিস কেনেন এবং সেটি নির্যাতিতাকে সেবন করান। অভিযোগ, এর পরেই ওই তরুণী অচৈতন্য হয়ে পড়েন। নির্যাতিতা পুলিশকে জানিয়েছেন, পরে যখন তাঁর হুঁশ ফেরে, তখন শরীরে বেশ কিছু জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান তিনি। তা দেখে সন্দেহ হওয়ায় গাড়ির ড্যাশক্যামের (গাড়ির সামনের দিকে বসানো ক্যামেরা) ফুটেজ পরীক্ষা করেন। তাতেই গোটা ঘটনা ধরা পড়ে বলে পুলিশকে জানান তিনি।
আরও পড়ুন:
ঘটনার তিন দিন পরে (২৩ ডিসেম্বর) থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। তাঁকে গাড়িতে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার ওই ম্যানেজার। পুলিশতে তিনি এ-ও জানান, হুঁশ ফেরার পর থেকে তাঁর পরনে বেশ কিছু গয়না, মোজা এবং অন্তর্বাসও খুঁজে পাননি তিনি। তরুণীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে ওই সংস্থার সিইও, মহিলা আধিকারিক এবং তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার সময়ে তাঁরা তিন জনই ওই গাড়িতে ছিলেন বলে অভিযোগ নির্যাতিতার।