Advertisement
E-Paper

চিকিৎসককে জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’

ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে দিল্লি গিয়েছিলেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ গদ্রে। গত কাল তাঁর বক্তৃতা করার কথা ছিল। সেই জন্য তিনি দিল্লির যন্তর মন্তরের কাছে ওয়াইএমসিএতে ছিলেন।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৯ ০৪:২৪
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে বাধ্য করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। এ বার সেই তালিকায় যুক্ত হল পুণের নামকরা চিকিৎসক তথা লেখক অরুণ গদ্রের নাম। অভিযোগ, দিল্লিতে এক দল যুবক তাঁকে ঘিরে ধরে ধর্ম জানতে চায় এবং ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে বাধ্য করায়। এটিকে ‘ছোট ঘটনা’ বলে উল্লেখ করে ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, তিনি চান না, বিষয়টি নিয়ে বেশি প্রচার হোক।

ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে দিল্লি গিয়েছিলেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ গদ্রে। গত কাল তাঁর বক্তৃতা করার কথা ছিল। সেই জন্য তিনি দিল্লির যন্তর মন্তরের কাছে ওয়াইএমসিএতে ছিলেন। ২৬ মে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন গদ্রে। সেই সময়েই কনট প্লেসের হনুমান মন্দিরের কাছে ওই ঘটনা ঘটে। গদ্রের কথায়, ‘‘সকাল ৬টা নাগাদ হাঁটতে বেরিয়েছিলাম। কয়েক জন যুবক আমাকে ঘিরে ধরে বলে, ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে হবে। আমি প্রথমে কয়েক পা পিছিয়ে যাই এবং ওরা যা বলতে বলে, তা বলি।’’ ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, এর পরেও যুবকেরা তাঁকে বলেছিল, আরও জোরে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে হবে। গদ্রে বলেন, ‘‘এর পরে আমি চলে যাই। ওরা আর আমাকে কিছু বলেনি। আমাকে নিগ্রহও করেনি। আমি চাই না, এই ঘটনা প্রচারিত হোক... নেহাতই ছোট ঘটনা। সকলের কাছে আবেদন, এই ঘটনা থেকে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছবেন না।’’

পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি গদ্রে। তাঁর পরিচিত এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, শুধু ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে বাধ্য করানোই নয়, গদ্রের কাছে তাঁর ধর্ম সম্পর্কেও জানতে চেয়েছিল ওই যুবকেরা। সম্প্রতি ওই চিকিৎসকের বাইপাস সার্জারি হয়েছে। গোটা ঘটনায় তিনি ‘ভীত ও আতঙ্কিত’। গদ্রে প্রখ্যাত চিকিৎসক প্রকাশ আমটের সঙ্গেও কাজ করেছেন। রোগীদের অধিকার এবং সার্বিক চিকিৎসা পরিষেবার নিয়ে গদ্রের উল্লেখযোগ্য কাজ রয়েছে।

সম্প্রতি বিহারের বেগুসরাইয়ে এক মুসলিম ফেরিওয়ালাকে এক মত্ত যুবক প্রশ্ন করেছিল, ‘এখানে কী করছিস? পাকিস্তানে যা।’ দু’জনের কথা কাটাকাটি হওয়ায় ফেরিওয়ালাকে গুলি করে ওই যুবক। দিল্লিতে শনিবার রাতে মসজিদ থেকে নমাজ পড়ে ফেরার সময়ে ২৫ বছরের মহম্মদ বরাকত আলমকে আক্রমণ করে চার-পাঁচ জনের একটি দল। টুপি খুলিয়ে জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’ বলায় তাঁকে। মারধর করে ছিঁড়ে দেয় কুর্তাও।

Jay Shree Ram Rascism Political Violence
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy