প্রতীকী ছবি।
ওলার মোবাইল অ্যাপস থেকে ক্যাব বুক করে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু, মাঝপথেই অপহরণ করা হয় চিকিত্সক শ্রীকান্ত গৌরকে। ওলা ক্যাবের চালক এবং তার সঙ্গীরাই শ্রীকান্তকে অপহরণ করে বলে অভিযোগ। ঘটনার ১৩ দিন পর বৃহস্পতিবার অপহৃত ওই চিকিত্সককে উদ্ধার করে পুলিশ। সঙ্গে পাকড়াও করা হয়েছে চার অভিযুক্তকে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, মূল অভিযুক্ত-সহ ছয় জন এখনও পলাতক।
গত ৬ জুলাই রাতে বাড়ি ফেরার সময় অপহৃত হন শ্রীকান্ত। এর পর অপহরণকারীরা ৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে ওলা কর্তৃপক্ষের কাছে ফোন করে। কিন্তু ওলা তা দিতে অস্বীকার করে বলে পুলিশের দাবি। তারা যদিও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। অবশেষে অপহরণকারীদের ধরতে ফাঁদ পাতে পুলিশ। কিন্তু বার বার ‘পাখি’ ফসকে যায়। অবশেষে টানা ১৩ দিনের টান টান উত্তেজনা শেষে মেরঠের শতাব্দী নগর থেকে ওই চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: লক্ষ্য রাজনীতিতে নামা, পুলিশের জালে ‘আজ কা রবিনহুড’
শ্রীকান্ত আদতে হায়দরাবাদের বাসিন্দা। বর্তমানে দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত। দক্ষিণ দিল্লির গৌতম নগরে এক বন্ধুর সঙ্গে থাকেন তিনি। ওই দিন রাতে নয়ডায় একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার সময় তাঁর বন্ধু চিকিৎসক রাকেশ প্রিত বিহার মেট্রো স্টেশনের কাছে শ্রীকান্তকে নামিয়ে দেন। অনেক রাত হয়ে যাওয়ায়, ওলায় ক্যাব বুক করেন তিনি।
তখনও জানতেন না গাড়িতেই অপেক্ষা করে রয়েছে বিপদ। চালক ছাড়া আরও তিন জন ছিল গাড়িতে। তবে কি ওই চিকিত্সক শেয়ার ওলা বুক করেছিলেন? এখনও পর্যন্ত সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। যদি তা না করে থাকেন, তা হলে ভিতরে তিন জনকে দেখেও কেন উঠেছিলেন জানা যায়নি তা-ও। ওঠার পরে চিকিৎসককে নিয়ে দাদরির দিকে রওনা দেয় ওলা। উল্টো রাস্তায় যাচ্ছে বলে চিকিৎসক চালককে সতর্ক করেন। তার পর গাড়ি ঘুরিয়ে ফের নয়ডার দিকে রওনা দেয় চালক। সেই সঙ্গে চিকিৎসককে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় সে।
মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে ঠিক তার পরের দিন। তবে চিকিৎসকের বাড়িতে নয়, ওলা কর্তৃপক্ষের কাছেই ৫ কোটি টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। পুলিশি জেরায় অভিযুক্তেরা জানিয়েছে, ওলাকে শিক্ষা দিতেই এই অপহরণের ছক কষে তারা। সেই সঙ্গে অপহরণের একটি ভিডিও তারা পাঠিয়ে দেয় ওলার অফিস এবং ওই চিকিৎসকের পরিবারের কাছে।
এর পরেই ঘটনার তদন্তে নামে দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল। মেরঠ পুলিশ জানিয়েছে, অপহরণকারীরা বেশির ভাগই মেরঠের বাসিন্দা। তাদের খোঁজ পেতে দিল্লি পুলিশের একটি দলকে উত্তরপ্রদেশে পাঠানো হয়। চিকিৎসককে নিয়ে নিজেদের আস্তানা পাল্টানোর সময় মেরঠের শতাব্দী নগরের কাছে এক বার ধরাও পড়ে যায় তারা। বেশ কিছু ক্ষণ পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই চলে। তাতে আহত হয় এক অপহরণকারীও। কিন্তু শেষে পুলিশের হাত ফস্কে পালিয়ে যায় তারা।
ফের অভিযান চালায় পুলিশ। তাতেই ধরা পড়ে চার অভিযুক্ত। দিল্লি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (পূর্ব) রবীন্দ্র যাদব জানিয়েছেন, ধৃতদের জেরা করে অপহরণের মূল পাণ্ডাকে খোঁজার কাজ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy