হরিয়ানার সরকারি হাসপাতালে ধরা পড়লেন এক ভুয়ো হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ। অন্য এক হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করার অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। তিনিও নিজেও এক জন চিকিৎসক। তবে হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ নন বলেই জানতে পেরেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, নিজেকে হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ পঙ্কজমোহন শর্মা হিসাবে পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করছিলেন। শুধু তা-ই নয়, ৫০টিরও বেশি অস্ত্রোপচারও করেছেন তিনি। হরিয়ানার ফরিদাবাদের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে। আট মাস ধরে তিনি ফরিদাবাদের সরকারি হাসপাতালে হৃদ্যন্ত্রের অস্ত্রোপচার করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে শনিবার। যে চিকিৎসকের নাম ভাঁড়িয়ে চিকিৎসা করছিলেন অভিযুক্ত চিকিৎসক, হৃদ্রোগ বিশষজ্ঞ পঙ্কজমোহনের কাছে এক রোগী বিষয়টি গিয়ে জানান। তার পরই ওই চিকিৎসকের নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই চিকিৎসক যাঁদের অস্ত্রোপচার করেছিলেন, তাঁদের অনেকেই নানা রকম সমস্যায় ভুগছেন। আবার কয়েক জন রোগীর মৃত্যুও হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ফরিদাবাদের ওই হাসপাতালে হৃদ্রোগের চিকিৎসা, অস্ত্রোপচার করানো হয়। অভিযুক্ত চিকিৎসক নিজেকে হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ হিসাবে পরিচয় দিয়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, ২০২৪-এর জুলাই থেকে ২০২৫-এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওই হাসপাতালে চিকিৎসা করেছেন অভিযুক্ত। তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই হাসপাতালে আসা বন্ধ করে দেন। তার পরই চিকিৎসক পঙ্কজমোহন অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইনি নোটিস দেন এবং ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন-এও অভিযোগ দায়ের করেন।