পুণের পোর্শেকাণ্ডে অভিযুক্ত কিশোরের রক্তের নমুনা বদলে দেওয়ার অভিযোগে আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন সাসুন জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক অজয় তাওড়ে। সেই মামলায় বর্তমানে তিনি ইয়েরওয়াড়া সেন্ট্রাল জেলে বন্দি। এ বার সেই চিকিৎসকের বিরুদ্ধেই কিডনি পাচার এবং পাচারচক্র চালানোর অভিযোগ উঠল। আর সেই অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) নিখিল পিঙ্গালে বলেন, ‘‘কিডনি পাচার মামলায় চিকিৎসক অজয় তাওড়েকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁকে বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হবে।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২২ সালে একটি বেসরকারি হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপনের নামে পাচার করার অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনাচক্রে, সেই মামলায় নাম উঠে আসে চিকিৎসক তাওড়ের। তার পরই তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২২ সালে তাওড়ে ছিলেন রিজিওনাল অথরাইজেশন কমিটির প্রধান। এই কমিটিই কিডনি প্রতিস্থাপনের অনুমোদন দিয়েছিল। পুণে পুলিশে ওই বছরেই কিডনি প্রতিস্থাপনে দুর্নীতি এবং পাচারের অভিযোগে এক বেসরকারি হাসপাতালের কর্ণধার-সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছিল। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে সম্প্রতি চিকিৎসক তাওড়ের নাম উঠে আসে। তার পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে সালের ১৯ মে পুণের কল্যাণী নগরে দুই ইঞ্জিনিয়ারকে পোর্শে দিয়ে চাপা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এক কিশোরের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় দু’জনেরই মৃত্যু হয়। পুণের সে দিনের ঘটনা তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল গোটা দেশে। কিশোরের বিরুদ্ধে মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার প্রমাণ লোপাটে কিশোরের রক্তের নমুনা বদলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক তাওড়ের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে জেলবন্দি চিকিৎসক। তার মধ্যেই এ বার তাঁর বিরুদ্ধে কি়ডনি পাচারের অভিযোগ উঠেছে।