Advertisement
E-Paper

‘বড় মূল্য চোকাতে হতে পারে’! ভারতের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্পকে সতর্ক করলেন তাঁরই এককালের ঘনিষ্ঠ আধিকারিক

ট্রাম্পের প্রথম দফার শাসনকালে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন বোল্টন। তাঁর মত, ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর পর আমেরিকা যা ভেবেছিল, আদতে তা ঘটেনি। নয়াদিল্লি দমেনি।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২৫ ১২:১৬

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

ভারত যাতে রাশিয়া-চিনের থেকে দূরে থাকে, আমেরিকা বরাবর সেই চেষ্টা করে এসেছে। এটাই ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক কৌশল ছিল। দীর্ঘ দিনের প্রচেষ্টায় অনেকাংশে সফলও হয়েছে তারা। কিন্তু শুল্কযুদ্ধের জেরে তাতে এ বার জল ঢেলে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনটাই দাবি করলেন ট্রাম্পেরই এককালের ঘনিষ্ঠ জন বোল্টন। তাঁর মত, ‘‘এর জন্য ওয়াশিংটনকে বড় মূল্য চোকাতে হবে।’’

ট্রাম্পের প্রথম দফার শাসনকালে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন বোল্টন। তাঁর মত, ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর পর আমেরিকা যা ভেবেছিল, আদতে তা ঘটেনি। নয়াদিল্লি দমেনি। উল্টে তাদের প্রতিক্রিয়া আমেরিকার জন্য নেতিবাচক।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বোল্টন জানান, আমেরিকা চেয়েছিল, ভারতীয় পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়ে রাশিয়ার ক্ষতি করবে। তা তো হলই না। ভারত সেই রাশিয়ার থেকেই তেল কিনছে। এর সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতিতে মস্কো এবং বেজিংয়ের আরও কাছাকাছি চলে এল নয়াদিল্লি। এটা শুধু স্বল্পমেয়াদে নয়, দীর্ঘমেয়াদেও ভারত-মার্কিন সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে।

প্রশ্ন উঠছে, ট্রাম্প ভারত-আমেরিকা সম্পর্ককে এক ধাক্কায় আড়াই দশক আগের তিক্ততায় নিয়ে যেতে চাইছেন কেন? প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বার ত্রিশেক ভারত-পাকিস্তানের মধ্যস্থতার দাবি করলেও, ভারত সরকার আদৌ তাঁর দাবিকে স্বীকৃতি দেয়নি। বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিষয়টিকে অস্বীকারও করা হয়েছে একাধিক বার। তাতে হতাশা, রাগ এবং তিক্ততা বেড়েছে ট্রাম্পের। অন্য অনেক দেশ যে ভাবে মাথা নিচু করে ফেলেছে, ভারত এখনও তা করেনি। রাশিয়ার থেকে তেল কেনা নিয়ে ট্রাম্পের হুমকির মাঝে আজও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কথা বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে পুতিনের বৈঠক ফলাও করে প্রচারও করা হয়েছে। দশ দিন পরে মস্কো যাবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও।

নয়াদিল্লি মনে করছে, ট্রাম্প ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যচুক্তির মুখে ক্রমাগত মর্জিমাফিক যে শর্তগুলি দিচ্ছেন, সেগুলি আসলে দ্বিপাক্ষিক অর্থনীতি অথবা বাণিজ্যের স্বার্থে নয়। বরং সেখানে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক, বাণিজ্যের সঙ্গে সংযোগহীন সব কারণই কাজ করছে। সেই কারণে এই মুহূর্তে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে প্রকাশ্য বাগ্‌‌যুদ্ধে না জড়িয়ে স্থৈর্য বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Donald Trump Tariff War
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy