রাশিয়া থেকে তেল কিনে ভারত আদতে ইউক্রেন যুদ্ধে মদত দিচ্ছে! এই অভিযোগে ভারতীয় পণ্যে জরিমানা-সহ ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তা নিয়ে ভারত-আমেরিকার সম্পর্কে টানাপড়েন অব্যাহত। বুধবার থেকে ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতি কার্যকরও হয়েছে। এই আবহে নয়াদিল্লিতে নতুন বার্তা দিলেন ট্রাম্পের আর্থিক উপদেষ্টা। তাঁর মত, ভারত যদি রাশিয়ার থেকে তেল কেনার ব্যাপারে নিজেদের মত না-বদলায়, তা হলে মার্কিন প্রেসিডেন্টও ‘নমনীয়’ হবেন না।
আমেরিকার জাতীয় আর্থিক পর্ষদের অধিকর্তা কেভিন হ্যাসেটের বক্তব্য, বাণিজ্য নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা যথেষ্টই জটিল ছিল। তার অন্যতম কারণ, ভারতের অনড় মনোভাব! হ্যাসেটের কথায়, ‘‘ভারত যদি নিজেদের মত না বদলায়, আমার মনে হয় না, ট্রাম্পও নিজের মত বদলাবেন।’’
পাশাপাশি, হ্যাসেটের মত, মূলত দু’টি কারণে ভারতের উপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একটি কারণ হল, ভারতের রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে আপত্তি। দ্বিতীয়ত, ভারতের বাজারে আমেরিকার পণ্য আমদানি নিয়ে নয়াদিল্লির কঠোর মনোভাব।
বুধবার ট্রাম্প সরকারের অর্থসচিব স্কট বেসেন্ট জানিয়েছিলেন, মস্কো থেকে তেল কেনাই নয়াদিল্লির উপর শাস্তিমূলক শুল্ক বলবতের একমাত্র কারণ নয়! স্কট বলেছিলেন, ‘‘দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতা ভারতের উপর বাড়তি শুল্ক আরোপের অন্যতম কারণ।’’
প্রসঙ্গত, নয়াদিল্লির বক্তব্য, ট্রাম্প চান, কৃষিপণ্য, দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার তাদের জন্য পুরোপুরি খুলে দিক ভারত। কিন্তু তাতে নারাজ নয়াদিল্লি। তাড়াহুড়োয় কেবল আমেরিকার সুবিধা হয়, এমন একপাক্ষিক চুক্তি করা হবে না বলে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার।