Advertisement
০৩ অক্টোবর ২০২৩
Haryana

Drunk Man: দেখছিলাম পুলিশ আসে কি না, তিন বোতল বিয়ার পান করে হেল্পলাইনে ফোন করলেন মদ্যপ! তার পর...

পুলিশকর্মীরা জানতে চান, ‘‘আপনি কি কোনও বিপদে পড়ছেন? ১১২-তে কেন ফোন করেছিলেন?’’

এই ব্যক্তিই ফোন করেছিলেন ১১২ নম্বরে। ছবি সৌজন্য টুইটার।

এই ব্যক্তিই ফোন করেছিলেন ১১২ নম্বরে। ছবি সৌজন্য টুইটার।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৬:১৭
Share: Save:

রাত ১২টা। আলোআঁধারি রাস্তা দিয়ে টলতে টলতে হাঁটছিলেন নরেশ কুমার। মদ্যপান করেছিলেন তিনি। নেশার ঘোরে হঠাৎই তাঁর খেয়াল হয়, ১১২ হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করলে কেমন হয়? যেমন ভাবা তেমন কাজ। হাতের মোবাইল ফোনে ১১২ ডায়াল করলেন। যে এলাকায় দাঁড়িয়ে নরেশ হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করেছিলেন, মিনিট পনেরোর মধ্যেই সেখানে হাজির পুলিশের একটি টহলদারি ভ্যান।

রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা নরেশকে ডাকেন এক পুলিশকর্মী। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ‘এখান থেকে একটা ফোন এসেছিল ১১২ নম্বরে। আপনি কি এ বিষয়ে কিছু জানেন?’ নরেশের কথা তখন জড়িয়ে যাচ্ছিল। পুলিশের কথা শুনে তিনি বলেন, ‘‘হ্যাঁ, আমিই ফোন করেছিলাম।’’

কেউ বিপদে পড়লে বা কোনও সাহায্যের জন্য ১১২ হেল্পলাইনে ফোন করা হয়। পুলিশকর্মীরা তখন জানতে চান, ‘‘আপনি কি কোনও বিপদে পড়ছেন? ১১২-তে কেন ফোন করেছিলেন?’’

সাদা মনে নরেশ তখন পুলিশকে জানান, গ্রামে ফেরার বাস ধরতে পারেননি। তার উপর সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। তাই হেঁটেই বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় একটি পানশালা দেখতে পান তিনি। তিন বোতল বিয়ার খান। তার পরই একটু নেশা হতেই সাহায্য চেয়ে ১১২ নম্বরে ফোন করেন। নরেশ বলেন, “অনেকেই বলেন জরুরি নম্বরে ফোন করে নাকি সাহায্য পাওয়া যায় না। আমিও তাই পরীক্ষা করছিলাম। দেখতে চাইছিলাম, ১১২ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ আসে কি না!”

নরেশের এই কথা শুনে বিশ্বাস হচ্ছিল না পুলিশকর্মীদের। তাই তাঁকে একাধিক বার এই প্রশ্নই করেন তাঁরা, কেন তিনি ফোন করেছিলেন? তিনি কি কোনও সমস্যায় পড়েছিলেন? পুলিশ যখন কিছুতেই বিশ্বাস করতে চাইছিল না নরেশের কথা, তখন তিনি জানান, মদপান করেই তিনি হেল্পলাইনের পরীক্ষা করছিলেন। যদিও পরে পুলিশ আশ্বস্ত হয় তাঁর কথায়। ঘটনাটি হরিয়ানার পাঁচকুলার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE