Advertisement
E-Paper

ফ্ল্যাট বিক্রির নামে টাকা নিয়ে ক্রেতাদের প্রতারণা! লালু পরিবারের ‘ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করল ইডি

ধৃত ব্যক্তির নাম অমিত কাটিয়াল। গুরুগ্রামের প্রতিষ্ঠিত রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী তিনি। বিভিন্ন মহলে লালু ও তাঁর পরিবারের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিতি রয়েছে তাঁর।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:৫০

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

ফ্ল্যাট বিক্রির নামে টাকা নিয়ে ক্রেতাদের প্রতারণার অভিযোগ! তদন্তে নেমে বিহারের আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদবের পরিবারের ‘ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সোমবার গুরুগ্রাম থেকে ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আপাতত ইডি হেফাজতেই থাকবেন তিনি।

সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম অমিত কাটিয়াল। গুরুগ্রামের প্রতিষ্ঠিত রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী তিনি। বিভিন্ন মহলে লালু ও তাঁর পরিবারের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিতি রয়েছে তাঁর। ক্রেতাদের প্রতারণার অভিযোগ এবং তহবিল তছরুপের মামলায় সোমবার গুরুগ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা দায়ের হয়েছে আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-এর অধীনে। সোমবার কেন্দ্রীয় সংস্থার গুরুগ্রাম জ়োনাল অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর অমিতকে ইডির বিশেষ আদালতে হাজির করানো হয়। সেখানে তাঁকে ছ’দিনের ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

অভিযোগ, গুরুগ্রামের সেক্টর ৭০-এ ১৪ একর একটি জমির উপর নির্মিত ক্রিশ ফ্লোরেন্স এস্টেটে টাকা নিয়ে ক্রেতাদের ফ্ল্যাট দেননি অমিত। এ ভাবে বহু ক্রেতাকে ঠকিয়ে অন্তত ৫০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। গোটা প্রকল্পটির তত্ত্বাবধানে ছিল অমিতের সংস্থা অ্যাঙ্গেল ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড। এ ছাড়া, ২০২৩ সালে রেলের ‘জমির বদলে চাকরি’ মামলার সঙ্গে জড়িত একটি পৃথক মামলাতেও অমিতকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। ওই মামলায় সরাসরি নাম জড়িয়েছিল প্রাক্তন রেলমন্ত্রীর পরিবারের। এ ছাড়া, তাঁর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ী দেবী এবং তাঁদের পরিবারের একাধিক সদস্যেরও নাম জড়িয়েছিল ওই মামলায়। গত মাসে ওই মামলায় চার্জগঠন করেছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। অভিযোগ, ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রাঁচী ও পুরীতে আইআরসিটিসির দু’টি হেরিটেজ হোটেলের টেন্ডার একটি বেসরকারি সংস্থাকে পাইয়ে দিতে সাহায্য করেছিলেন লালু। পরিবর্তে সেই সংস্থার কাছ থেকে দু’একর জমি নেওয়ার অভিযোগ ওঠে লালুর বিরুদ্ধে। তা ছাড়া, লালুর পরিবারের বিরুদ্ধে গ্রুপ ডির চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে বহু চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে ন্যূনতম দামে জমি কিনে নেওয়ার অভিযোগও ওঠে। ২০২২ সালে ওই মামলায় চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। মোট ১৬ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। সেই মামলাতেই গত মাসে চার্জগঠন করেছে দিল্লির আদালত। যদিও নিজেদের ‘নির্দোষ’ বলে দাবি করেছেন লালু-সহ সকলেই।

Real Estate ED Lalu Prasad Yadav Businessman
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy