আরজেডি প্রধান তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতি’র মামলার তদন্ত চলছে। অভিযোগ, জমির বদলে রেলে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন লালু। শুধু লালু একা নন, এই ‘দুর্নীতি’তে জড়িয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যেরাও। সেই মামলার তদন্তের স্বার্থে মঙ্গলবার লালুর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ী দেবী এবং পুত্র তেজস্বী যাদবকে দীর্ঘ ক্ষণ জেরা করেন ইডি আধিকারিকেরা। দু’জনকে আলাদা আলাদা ঘরে বসিয়ে চলে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। বুধবার পালা লালুর।
জমির বদলে চাকরির মামলায় গত দুই বছরে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হল রাবড়ীকে। আর তেজপ্রতাপকে প্রথম বার জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, টানা আট ঘণ্টা ধরে চলা এই জিজ্ঞাসাবাদের পর্বে লালু-পত্নীকে অনেকগুলি প্রশ্ন করা হয়। কিছু প্রশ্নের উত্তর দিলেও এড়িয়ে গিয়েছেন অনেকগুলিই। তদন্তে বেশ কিছু নতুন তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে লালু এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
কী কী প্রশ্ন করা হয়েছে রাবড়ীকে? সূত্রের খবর, অনেক প্রশ্নের মধ্যে সাতটি প্রশ্ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। প্রথম প্রশ্নই ছিল, দিল্লির নিউ ফ্রেন্ডস কলোনির বাংলোটি কী ভাবে নিলেন? রাবড়ির কাছে জানতে চাওয়া হয় পটনার সাগুনা মোড়ের বহুতলের জমি সম্পর্কেও। এই সব সম্পত্তি কেনার জন্য টাকা কোথা থেকে এসেছিল, তা-ও লালু-পত্নীর থেকে জানতে চান গোয়েন্দারা। সাগুনা মোড়ের জমি রাবড়ীর নামে। কী ভাবে সেই জমি পেলেন তিনি, সেই প্রশ্নও রাখা হয়েছিল। জমির বদলে যাঁদের রেলে চাকরি দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের সঙ্গে কী ভাবে পরিচয় হয়, তা-ও জানতে চাওয়া হয়। প্রথম কবে তাঁদের সঙ্গে আলাপ হয় এবং কী ভাবে চেনাজানা হয়, সেই সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। তবে এই সব প্রশ্নের উত্তরে রাবড়ি কী বলেছেন তা জানা যায়নি।
আরও পড়ুন:
মঙ্গলবার সকালে কন্যা মিসা ভারতীর সঙ্গে ইডি দফতরে পৌঁছোন রাবড়ী। দুপুরে খাওয়ার জন্য তাঁকে অনুরোধ করেন ইডি আধিকারিকেরা। ইডি দফতরেই মধ্যাহ্নভোজ সারেন লালু-পত্নী। সূত্রের খবর, অনেক প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। তবে মিসা দাবি করেন, ইডির সব প্রশ্নের উত্তরই দেওয়া হয়েছে। বুধবার ইডি দফতরে যাওয়ার কথা লালুর। তবে তিনি যান কি না, সেটাই দেখার।