Advertisement
E-Paper

আরও বিপাকে অনিল অম্বানী! আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে ৩০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তিগুলির মধ্যে দিল্লিতে মহারাজা রণজিৎ সিংহ মার্গে ‘রিলায়্যান্স সেন্টার’-এর একটি জমি রয়েছে। এ ছাড়া রাজধানী দিল্লি, নয়ডা, গাজ়িয়াবাদ, পুণে, মুম্বই, ঠাণে, হায়দরাবাদ, চেন্নাই এবং অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলার কিছু সম্পত্তিও রয়েছে বাজেয়াপ্তের তালিকায়।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ১১:৫৪
অনিল অম্বানী। তাঁর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত ৩০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

অনিল অম্বানী। তাঁর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত ৩০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। — ফাইল চিত্র।

রিলায়্যান্স গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান অনিল অম্বানীর সঙ্গে সম্পর্কিত তিন হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ‘রিলায়্যান্স অনিল ধীরুভাই অম্বানী গ্রুপ’-এর অধীনস্থ বিভিন্ন সংস্থায় আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। সোমবার সকালে আধিকারিক সূত্রে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ওই তদন্তের সূত্রেই এই তিন হাজার কোটিরও বেশি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

অনিলের সংস্থার বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগের তদন্তে নেমে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য চারটি নির্দেশিকা জারি করেছিল ইডি। পিটিআই জানাচ্ছে, এর মধ্যে মুম্বইয়ের পালি হিল এলাকায় অনিলদের একটি বাড়িও রয়েছে। এ ছাড়া আরও বেশ কিছু বাড়ি এবং সংস্থার কিছু বাণিজ্যিক ভবনও বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছিল ইডি।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওই সূত্র জানিয়েছে, বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তিগুলির মধ্যে দিল্লিতে মহারাজা রণজিৎ সিংহ মার্গে ‘রিলায়্যান্স সেন্টার’-এর একটি জমি রয়েছে। এ ছাড়া রাজধানী দিল্লি, নয়ডা, গাজ়িয়াবাদ, পুণে, মুম্বই, ঠাণে, হায়দরাবাদ, চেন্নাই এবং অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলার কিছু সম্পত্তিও রয়েছে বাজেয়াপ্তের তালিকায়। ইডির ওই সূত্রের দাবি, সব মিলিয়ে ৩,০৮৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

২০০৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অনিলের সংস্থা ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে বড় অঙ্কের ঋণ নেওয়ার সময় নিয়ম মানেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ইডি দেখছে, ঋণ মঞ্জুর হওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের কয়েক জন বড় অঙ্কের টাকা পেয়েছিলেন।

অম্বানী গ্রুপের বিরুদ্ধে আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে এসবিআই-সহ দেশের একাধিক ব্যাঙ্ক। কয়েক মাস আগে এই ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছিলেন অনিল। দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ব্যাঙ্ক জালিয়াতির মামলায় পৃথক তদন্ত চালাচ্ছে আর এক কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই-ও।

Anil Ambani Enforcement Directorate Reliance
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy