Advertisement
E-Paper

কাশির সিরাপ-কাণ্ড: এ বার টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ! ইডির হানা চেন্নাইয়ের সাত জায়গায়, তল্লাশি এফডিএ কর্তাদের বাড়িতেও

সম্প্রতি ‘কোল্ডরিফ’ খেয়ে মধ্যপ্রদেশে ২০টি শিশুর মৃত্যুকে ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থানেও একই ওষুধ খেয়ে বেশ কয়েক জন শিশুর অসুস্থ হয়ে পড়ার কথা শোনা যায়। স্রেসান ফার্মা নামে যে সংস্থা ওই কাশির সিরাপ তৈরি করেছিল, দিন চারেক আগেই তার মালিক জি রঙ্গনাথনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ১০:৩২
‘বিষাক্ত’ কাশির সিরাপ-কাণ্ডে এ বার টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ!

‘বিষাক্ত’ কাশির সিরাপ-কাণ্ডে এ বার টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ! — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

বিতর্কিত কাশির সিরাপ ‘কোল্ডরিফ’ প্রস্তুতকারক সংস্থা স্রেসান ফার্মাসিউটিক্যাল্‌স-এর যোগসূত্র ধরে এ বার তামিলনাড়ুর একাধিক জায়গায় অভিযান শুরু করল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সোমবার সকাল থেকে চেন্নাইয়ের অন্তত সাতটি জায়গায় হানা দিয়েছে ইডি। চলছে তল্লাশি অভিযান।

তামিলনাড়ুর ওই ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে সম্প্রতি ‘বিষাক্ত’ কাশির সিরাপ তৈরির পাশাপাশি টাকা নয়ছয়েরও অভিযোগ উঠেছে। এর পরেই ওই সংস্থার বিভিন্ন দফতরে হানা দিয়ে তল্লাশি শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পাশাপাশি, অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-র অধীনে তামিলনাড়ুর খাদ্য ও ওষুধের গুণমান নিয়ন্ত্রক দফতর (এফডিএ)-র শীর্ষকর্তাদের বাসভবনেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে খবর। তল্লাশি চলছে অন্তত সাতটি জায়গায়।

সম্প্রতি ‘কোল্ডরিফ’ খেয়ে মধ্যপ্রদেশে ২০টি শিশুর মৃত্যুকে ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থানেও একই ওষুধ খেয়ে বেশ কয়েক জন শিশুর অসুস্থ হয়ে পড়ার কথা শোনা যায়। স্রেসান ফার্মা নামে তামিলনাড়ুর যে সংস্থা ওই কাশির সিরাপ তৈরি করেছিল, দিন চারেক আগেই তার মালিক জি রঙ্গনাথনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়। কাশির সিরাপটির নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, কোল্ডরিফে ৪৮.৬ শতাংশ ডাই-ইথাইল গ্লাইকল (ডিইজি) ছিল, যেখানে অনুমোদিত সীমা মাত্র ০.১ শতাংশ। ডিইজি একটি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ, যা কিডনি বিকল করে দিতে পারে। লিভার এবং স্নায়ুতন্ত্রেরও মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। মধ্যপ্রদেশে ও রাজস্থানে মৃত শিশুদের ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছিল বলে অনুমান। তদন্তে আরও জানা যায়, ২০১১ সালে তামিলনাড়ু ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (টিএনএফডিএ) কর্তৃক লাইসেন্স পায় স্রেসান ফার্মা। তবে তাদের জিএমপি শংসাপত্র ছিল না, তা সত্ত্বেও তারা ওষুধ তৈরি ও বিক্রি চালিয়ে যাচ্ছিল বলে অভিযোগ।

ED ED Raids Chennai Cough Syrup
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy