সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ‘ন্যাশনাল হেরাল্ড’ মামলায় ‘প্রাথমিক ভাবে’ আর্থিক নয়ছয়ের মামলা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে বলে ইডি দাবি করল। ইডি-র অভিযোগ, সনিয়া ও রাহুল এই আর্থিক নয়ছয় থেকে ১৪২ কোটি টাকার মুনাফা ভোগ করেছেন।
গত ১৫ এপ্রিল ইডি ‘ন্যাশনাল হেরাল্ড’ মামলায় সনিয়া-রাহুলের বিরুদ্ধে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে চার্জশিট দেয়। আজ ইডি-র তরফে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু আদালতে বলেন, ইডি ২০২৩-এর নভেম্বরে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। তার আগে পর্যন্ত অভিযুক্তরা এই আর্থিক নয়ছয়ের অপরাধের আয়ে তৈরি সম্পত্তি ভোগ করছিলেন। বিশেষ আদালতের বিচারক বিশাল গোগন নির্দেশ দেন, চার্জশিটের একটি কপি বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর হাতে তুলে দিতে হবে। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই ইডি ন্যাশনাল হেরাল্ড নিয়ে মামলা দায়ের করে।
আজ গান্ধী পরিবারের আইনজীবী ইডি-র চার্জশিট ও অন্যান্য খতিয়ে দেখার জন্য সময় চান। আদালত জানিয়েছে, ২ থেকে ৮ জুলাই এই মামলার রোজ শুনানি হবে। আজ গোড়াতেই ইডি-র আইনজীবী যুক্তি দেন, রাহুল-সনিয়া ও অন্য গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা পরিকল্পনা করে ‘ইয়ং ইন্ডিয়া’ সংস্থা তৈরি করেন। সেই সংস্থা আর্থিক নয়ছয় করে ঘুরপথে ‘ন্যাশনাল হেরাল্ড’ পত্রিকার প্রকাশনা সংস্থা ‘অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেডের’ ২ হাজার কোটি টাকার বেশি মূল্যের সম্পত্তি দখল করে। এই সংস্থার অন্যতম মালিক সনিয়া ও রাহুল। তাঁরা মাত্র ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ওই সম্পত্তি দখল করেন। প্রায় ১৮ কোটির ভুয়ো অনুদান, ৩৮ কোটির আগাম ভুয়ো ভাড়া, ২৯ কোটির ভুয়ো বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আরও মুনাফা ওঠে। ২০২৩-এ ইডি প্রায় ৭৫১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। তার আগে অভিযুক্তরা এই সম্পত্তি ভোগ করেছিলেন বলে দাবি।
এই মামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করে কংগ্রেসের অভিযোগ, অলাভজনক ‘ইয়ং ইন্ডিয়া’-এর হাতে লোকসানে চলা ‘অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালসের’ মালিকানা দেওয়া হয়। অলাভজনক সংস্থা থেকে মুনাফার প্রশ্নই ওঠে না।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)