পুলওয়ামার সেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য। ছবি: রয়টার্স।
কাশ্মীরে অস্থিরতা তৈরি করতে টাকা জোগাচ্ছে পাকিস্তান। তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকতে পারে পাকিস্তানি হাইকমিশনেরও। সন্দেহ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর গোয়েন্দাদের।
নাশকতায় মদত এবং আর্থিক তছরুপের অভিযোগে সম্প্রতি গুরুগ্রামে কাশ্মীরি ব্যবসায়ী জাহুর আহমেদ শাহ ওয়াতালি-র ১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। তদন্তে নেমে তাঁর সঙ্গে পাকিস্তানি হাইকমিশনের আর্থিক লেনদেনের হদিশ মেলে। তাতেই সন্দেহ দানা বেঁধেছে। খুব শীঘ্রই ওই কাশ্মীরি ব্যবসায়ীর আরও ৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর।
জাহুরের বাড়ি এবং দফতর-সহ তাঁর হিসাবরক্ষক গোলাম মহম্মদ ভাটের বাড়িতেও হানা দেন গোয়েন্দারা। সেখানে তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়। এর পর গোয়েন্দাদের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, হাফিজ সইদ, পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং দিল্লির পাকিস্তানি হাইকমিশন থেকে নিয়মিত টাকা আসত জাহুর আহমেদ শাহ ওয়াতালির কাছে। দুবাই থেকেও টাকা আসত। সেই টাকা হুরিয়ত নেতা এবং বিচ্ছিন্নতাকামীদের কাছে পৌঁছে দিতেন তিনি।
আরও পড়ুন: শত্রুর কাছে গোপন রাফাল নথি, বিপন্ন দেশের নিরাপত্তা, সুপ্রিম কোর্টে বলল কেন্দ্র
আরও পড়ুন: সারা দেশে চলছে অঘোষিত ‘সুপার-ইমার্জেন্সি’, বিজেপিকে তোপ মমতার
লেনদেন সংক্রান্ত নথিপত্রে জাহুর আহমেদ শাহ ওয়াতলির স্বাক্ষরও রয়েছে বলে জানান গোয়েন্দারা। তাঁদের দাবি, দেশে অস্থিরতা তৈরি করতে সীমান্তের ওপার থেকে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাকামী নেতাদের কাছে কমপক্ষে ৭ কোটি টাকা পৌঁছেছে। দিল্লিতে পাকিস্তানি হাইকমিশন হয়ে ঘুরপথে সেই টাকা তাঁদের কাছে গিয়েছে, এমন ইঙ্গিতও মিলেছে বলে খবর। যদিও একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তরফে নয়াদিল্লির পাকিস্তানি হাইকমিশনে যোগাযোগ করা হলে, কোনও জবাব মেলেনি।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপি কনভয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকে উপত্যকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাটো করা হয়েছে। বাড়ি বাড়ি হানা দিয়ে ধরপাকড় করা হয়েছে হুরিয়ত নেতাদেরও। যার পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র তরফে একটি চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, পাকিস্তানে বসে লস্কর-ই-তৈবা নেতা হাফিজ সইদ, হিজবুল মুজাহিদিন নেতা সৈয়দ সালাউদ্দিনরা হুরিয়তকে টাকা পৌঁছে দিচ্ছে। উপত্যকায় নাশকতামূলক কাজকর্মে সেই টাকা ব্যবহার করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষদের তাতিয়ে তুলতেও ব্যবহার করা হচ্ছে ওই টাকা। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করতে মঙ্গলবার হুরিয়ত কনফারেন্সের আওয়ামি অ্যাকশন কমিটির চেয়ারম্যান মিরওয়াইজ উমর ফারুখকে দিল্লিতে ডেকে পাঠায় এনআইএ। কিন্তু নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে হাজিরা দেননি তিনি।
(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy