চার দিন কেটে গিয়েছে। এখনও তেলঙ্গানার সুড়ঙ্গে আটক আট শ্রমিককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। উদ্ধারকারী দল আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু শেষ ৪০-৪৫ মিটার পথ পেরোতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। প্রতি পদে পদে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যদেরা। তবে আশার আলো, সুড়ঙ্গের শেষ ধাপ পেরোনো সম্ভব হয়েছে। টাইম্স অফ ইন্ডিয়া-র প্রতিবেদন বলছে, ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পৌঁছনো সম্ভব হলেও এখনও পর্যন্ত আটকে পড়া শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
গত শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ তেলঙ্গানার শ্রীশৈলম সুড়ঙ্গের একাংশ আচমকাই ধসে যায়। দুর্ঘটনার সময় ওই সুড়ঙ্গে আট জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। ধসের ফলে সেখানেই আটকে পড়েন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। খবর পাওয়ার পরই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। কিন্তু চার দিন পরও শ্রমিকদের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। আটক শ্রমিকদের নিয়ে উদ্বেগে পরিবার।
সুড়ঙ্গের ভিতরে জল এবং কাদা ভরে গিয়েছে। তা রবিবার থেকেই বার করার প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু কাজ বার বার থমকে যাচ্ছে জল আর কাদার কারণেই। উদ্ধারকারীদের একাংশ জানাচ্ছেন, সুড়ঙ্গের শেষ ৪০-৪৫ মিটার জল, কাদায় ভরে রয়েছে। সেই জল, কাদা ঠেলে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছোনোই বড় চ্যালেঞ্জ। ওই সুড়ঙ্গে আটকে পড়া এক শ্রমিক সানি সিংহের এক আত্মীয়ও তাঁর সঙ্গেই ওই সুড়ঙ্গে কাজ করছিলেন। যদিও দুর্ঘটনার সময় তিনি সুড়ঙ্গের মধ্যে ছিলেন না। সেই আত্মীয়ের থেকেই বার বার সানির খবরাখবর নিচ্ছেন পরিবারের লোকেরা। সানির ভাই রাজেশ আশাবাদী, খুব শীঘ্রই ভাল খবর পাবেন।
আরও পড়ুন:
আটকে থাকা শ্রমিকদের বার করে আনতে ‘র্যাট হোল মাইনার’দের ডাক পড়েছে। সোমবারই একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়। মঙ্গলবার আরও একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের সঙ্গে তাঁরাও উদ্ধারকাজে সাহায্য করছে। তবে সময় যত গড়াচ্ছে উৎকণ্ঠা, উদ্বেগও ততই বাড়ছে।