Advertisement
E-Paper

এ বার ডিজিটাল অ্যারেস্ট ওড়িশার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে! ইডি-র নাম করে ১৪ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ

অধ্যাপিকা বুঝতে পারেন, তাঁকে ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। সোমবার বেরহামপুর থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন ওই শিক্ষিকা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের সাইবার অপরাধদমন শাখা।

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন। গ্রাফিক সহায়তা: এআই

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:১৫
Share
Save

ওড়িশার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’-এর ফাঁদে ফেলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছে পুলিশের সাইবার অপরাধদমন শাখা। প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা খোয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ। অপরাধীদের খোঁজে ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ওড়িশার বেরহামপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ওই মহিলার নাম গীতাঞ্জলি দাস। অভিযোগ, গত ১২ ফেব্রুয়ারি গীতাঞ্জলির কাছে একটি ফোন আসে। নিজেকে ইডি আধিকারিক হিসাবে পরিচয় দিয়ে অপর প্রান্ত থেকে পুরুষ কণ্ঠ ইংরেজিতে বলে, অধ্যাপিকার নামে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের করেছে ইডি। সে জন্য গীতাঞ্জলিকে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ করা হচ্ছে। এ সব শুনে ভয় পেয়ে যান ওই মহিলা। তখন তাঁকে বলা হয়, ১৪ লক্ষ টাকা দিলে তাঁকে জামিনে ছাড়া হবে। প্রতারকদের কথামতো ওই টাকা একটি নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেন অধ্যাপিকা।

টাকা পাওয়ার পর থেকে প্রতারকদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি। এর পরেই অধ্যাপিকা বুঝতে পারেন, তাঁকে ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। সোমবার বেরহামপুর থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন ওই শিক্ষিকা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের সাইবার অপরাধদমন শাখা। বেরহামপুরের পুলিশ সুপার সারাভান বিবেক জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে। প্রতারকদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।

উল্লেখ্য, গত বছর থেকেই শুরু হয়েছে ডিজিটাল গ্রেফতারির রমরমা! এমন বহু ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কেন্দ্রের তরফে সাইবার অপরাধ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে নানা পদক্ষেপ করা হচ্ছে। নামে গ্রেফতার শব্দটি থাকলেও গ্রেফতারির সঙ্গে ‘ডিজিটাল গ্রেফতারি’-র কোনও সম্পর্ক নেই। এটি সাইবার প্রতারণার ফাঁদ। এখানে প্রতারকেরা সিবিআই, নারকোটিক্স, আরবিআই কিংবা শুল্ক এবং আয়কর আধিকারিক হিসাবে নিজেদের পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে ফোন করেন। এর পর ওই ব্যক্তি কিংবা তাঁর পরিজনদের কারও বিরুদ্ধে গুরুতর কোনও অভিযোগের কথা বলে তাঁকে ডিজিটাল গ্রেফতারির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা হয়।

Digital Arrest Odisha university Cyber Crime vice chancellor

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}