মহারাষ্ট্রের ভোটার তালিকায় বিরোধীরা কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল। এ বার বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিশেষ ভাবে জোর দিয়ে রাজ্যের ভোটার তালিকা সংশোধন বা ‘স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন’ করার সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন।
সাধারণত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বুথ স্তরের এজেন্ট বা কর্মীরা এই রিভিশনে অংশ নিয়ে থাকেন। ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দলগুলি যাতে সংশোধিত ভোটার তালিকা নিয়ে কোনও কারচুপির অভিযোগ তুলতে না পারে, সে জন্য বিহারের রাজনৈতিক দলগুলিকে এই কাজে দলীয় কর্মীদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে পরামর্শ দিয়েছে কমিশন। ২০০৩-এর পরে বিহারে প্রায় ২২ বছর বাদে ভোটার তালিকায় সার্বিক সংশোধন করা হচ্ছে। অক্টোবর-নভেম্বরে বিহারে ভোটের আগে ৩০ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। আজ নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বিহারের ভোটার তালিকা সার্বিক ভাবে সংশোধন করে যোগ্য ভোটারের নাম অন্তর্ভুক্ত করে অযোগ্য ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হবে।
রাহুল গান্ধী অবশ্য এ দিনও অভিযোগ তুলেছেন, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটারদের সংখ্যা ৫ মাসে ৮ শতাংশ বেড়েছিল। কিছু বুথে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ ভোটার বেড়েছিল। বুথ স্তরের আধিকারিকরা অপরিচিত ব্যক্তিদের ভোট দিতে দেখেছেন। ফডণবীস রাহুলের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ তুলে বলেছেন, রাজ্যের ২৫টি কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৮ শতাংশ বেড়েছিল। যার মধ্যেঅনেক আসন কংগ্রেস জিতেছে। মহারাষ্ট্রের নির্বাচন দফতর জানিয়েছে, রাজ্যের ভোটার তালিকা স্বচ্ছতার সঙ্গেই তৈরি হয়েছিল। রাজনৈতিক দলগুলিকে সেই ভোটার তালিকা দেওয়াও হয়েছিল।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)